নোয়খালীর সদর উপজেলায় সন্ত্রাসী কায়দায় প্রকাশ্য দিবালোকে
সাবেক সেনা কর্মকর্তা আব্দুস সোবহান জিন্নাহকে হত্যার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসী
হামলার প্রতিবাদে এবং সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারপূর্বক শাস্তির দাবিতে
মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী।
রোববার (০২ নভেম্বর) সকালে উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়নের দেবীপুর পিরিঙ্গি ব্রিজের পাশের সড়কে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে ভুক্তভোগী সাবেক সেনা কর্মকর্তা আব্দুস সোবহান জিন্নাহ বলেন, তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় মাদক, জুয়াসহ নানা অসামাজিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে আসছেন। ওই প্রতিবাদের সূত্রে ধরে, সদর উপজেলার কাদির হানিফ ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের মোস্তফা, আব্দুল মতিনের পুত্র সুমন, রিপন, আব্দু্ল খালেকের পুত্র পাবেল, নাদু মিয়াসহ ১৫/২০ জনের একদল ভাড়াটিয়া লাঠিয়াল বাহিনী তাঁর মালেকীয় ও দখলীয় জায়গা দখল করতে যায়। এসময় তিনি খবর পেয়ে ঘটনাস্খলে আসলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা তাঁর ওপর হামলা চালিয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করে গুরত্বর আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ঠ নোয়াখালী জেনারেল হাপাতালে ভর্তি করে।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে স্থানীয় এলাকাবাসী শামীম, রায়হান, নুরুল আমিন হুকু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এসময় তারা বলেন, পার্শ্ববর্তী কাঞ্চনপুর গ্রামের বহিরাগত সন্ত্রাসীরা প্রায় সময় দেবীপুরে এসে অসামাজিক কার্যকলাপ করে। তাদের বাঁধা দিলে তারা দেবীপুরের মানুষের ওপর প্রায় হামলা করে। এরই ধারাবাহিকতায় তারা সাবেক সেনা কর্মকর্তা আব্দুস সোবহান জিন্নাহর জায়গা দখল করতে গেলে বাঁধা দেওয়ায় জিন্নাহকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে আহত করে। এই হামলার ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতারপূর্বক শাস্তির দাবী জানান স্থানীয়রা।
এদিকে, স্থানীয় কাঞ্চনপুরের বাসিন্দা শাহাদাত হোসেন বলেন, আমাদের শতাধিক পরিবারের দীর্ঘদিনের চলাচলের রাস্তা এলজিইডির উদ্যোগে সংস্কার করতে গেলে আব্দুস সোবহান জিন্নাহ বাঁধা দেয় এবং আমাদের চলাচলের মৌলিক অধিকারে বিঘ্ন ঘটায়। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। এই বাকবিতন্ডাকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করে আমাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়ে হয়রানী করছে জিন্নাহ।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনায় জড়িত আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।