ঈদে সকল পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত র‌্যাব

ঘরমুখো মানুষকে সেবা দেয়ার জন্য দেশের প্রতিটি ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে বাস টার্মিনাল, রেল স্টেশন, লঞ্চ টার্মিনাল, ফেরিঘাট ও গুরুত্বপূর্ণ জনসমাগম হয় এমন স্থানগুলোতে ‘র‌্যাব সাপোর্ট সেন্টার’ স্থাপন করেছে।

ঈদের দু’দিন আগে ও ঈদের পরের দিন পর্যন্ত এসব সাপোর্ট সেন্টারের কার্যক্রম চলমান থাকবে।

সেন্টারগুলোতে জরুরি চিকিৎসাসেবা দিতে মেডিক্যাল টিম, ইফতার ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে র‌্যাব স্পেশাল ফোর্সের কমান্ডো টিম। প্রস্তুত রয়েছে র‍্যাবের হেলিকপ্টারও।

বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাহিনীটির লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি জানান, সব ধরনের ঝুঁকি পর্যালোচনা করে আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর ২০২৩ উপলক্ষে র‌্যাবের পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ উৎসবকে সামনে রেখে বিভিন্ন মার্কেট ও বিপণী বিতানগুলোতে প্রচুর ক্রয়-বিক্রয়, আর্থিক লেনদেন ও জনসমাগম হয়ে থাকে। কিছু অসাধুচক্র এ সুযোগে বেশি দামে পণ্য বিক্রি ও ভেজালযুক্ত খাবার বিক্রি করে থাকে।

খন্দকার আল মঈন আরো জানান, ঈদের কয়েকদিন আগ থেকেই প্রতিটি সড়ক, রেল ও নৌ-পথে প্রচুর যাত্রীর সমাগম হয়ে থাকে। তাছাড়া ঈদের নামাজেও অসংখ্য মুসল্লির জমায়েত হয়। অন্যদিকে, অধিকাংশ লোকজন এসময় ছুটিতে থাকায় ঢাকা শহর ফাঁকা হয়ে যায়। ফলে ছিনতাই, চুরি ও ডাকাতির মাত্রা বৃদ্ধিসহ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের আশঙ্কা থাকে। তাই পবিত্র ঈদুল ফিতর কেন্দ্র করে প্রতি বছরের মতো এবারও র‌্যাব বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে।

র‌্যাব সদর দপ্তরে কন্ট্রোল রুমের (কন্ট্রোল রুমের হটলাইন নম্বর: ০১৭৭৭৭২০০২৯) মাধ্যমে ঢাকাসহ সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ ও সমন্বয় করা হয়েছে।

কমান্ডার মঈন বলেন, ঈদে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র‌্যাব ফোর্সের ব্যাটালিয়নগুলো নিজ নিজ এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছে ও পর্যাপ্ত সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সারাদেশে র‌্যাবের কন্ট্রোল রুম, স্ট্রাইকিং রিজার্ভ, চেক পোস্ট ও সিসিটিভি মনিটরিংসহ যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় র‌্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ডগ স্কোয়াড ও হেলিকপ্টারগুলো সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

জাতীয় ঈদগাহসহ গুরুপূর্ণ ঈদগাহগুলোতে ডগ স্কোয়াড ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। সঙ্গে থাকবে পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরার কাভারেজ। গুরুত্বপূর্ণ শপিং মল, বিপণী বিতানসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে, যাতে সাধারণ মানুষ উৎসব মুখর পরিবেশে ও নিরাপদে ঈদ উদযাপন করতে পারে।