ঢাকা বুধবার, ডিসেম্বর ১০, ২০২৫


https://www.ajkerbazzar.com/wp-content/uploads/2025/06/728X90_Option.gif

বিভাগ ও বিমানবন্দর প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ন্যায্য অধিকার আদায় করবো: জহিরুল ইসলাম


স্মার্ট প্রতিনিধি
১৪:১৯ - সোমবার, নভেম্বর ১৭, ২০২৫
বিভাগ ও বিমানবন্দর প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ন্যায্য অধিকার আদায় করবো: জহিরুল ইসলাম

নোয়াখালীর দীর্ঘদিনের অবহেলা ও উন্নয়ন বঞ্চনার পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেটার নোয়াখালী ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশনের মুখ্য সমন্বয়ক ও ডা. মোস্তফা-হাজেরা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মো. জহিরুল ইসলাম বলেছেন, ৫৪ বছরের পুরোনো রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে আর নোয়াখালী চলবে না। বিভাগ ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমাদের ন্যায্য অধিকার আদায় করবো ইনশাআল্লাহ।

সোমবার নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়ন ও জেলা একটি আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর স্থাপনের যৌক্তিকতা তুলে ধরে গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জহিরুল ইসলাম এসব কথা বলেন।

জহিরুল ইসলাম বলেন, নোয়াখালী শুধু একটি জেলা নয়, এটি দেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলের স্ট্র্যাটেজিক অর্থনৈতিক এলাকা। এখানকার প্রবাসী জনগোষ্ঠী রেমিট্যান্সের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। তবে আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর না থাকায় রেমিট্যান্স এবং বিদেশি বিনিয়োগ ব্যবস্থায় সীমাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। নোয়াখালীতে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থাকলে প্রবাসীরা সহজে নিজ এলাকায় আসতে পারবেন, বিনিয়োগকারীরা এখানে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হবেন, আর শিল্পায়ন ও রপ্তানি কার্যক্রম দ্রুততর হবে।

তিনি বলেন, নোয়াখালীতে আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর হলে তা এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মতো দেশগুলোর ট্রানজিট পয়েন্ট হতে পারে। ফলে আমরা দুবাই ও কাতারের মতো আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরের ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে বাংলাদেশকে বিশ্ব-বাজারে যুক্ত করতে পারবো।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেষা চরাঞ্চল, শিল্পাঞ্চল এবং পর্যটন সম্ভাবনা নোয়াখালীকে ব্লু ইকোনমিক জোন হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। আমাদের দক্ষিণে যে বঙ্গোপসাগর রয়েছে এবং প্রতিনিয়ত নতুন চর সৃষ্টি হচ্ছে, এখানেই ব্লু ইকোনমিক জোন গঠন করা সম্ভব। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দর থাকলে দেশের অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ হবে। 

জহিরুল ইসলাম বলেন, সমুদ্রবন্দর থাকলে মেরিন ড্রাইভ, পর্যটন, শিপিং এবং রপ্তানি খাত দ্রুত বিকাশ পাবে। বিমানবন্দর এবং সমুদ্রবন্দর একত্রিত হলে নোয়াখালী হতে পারে দেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলের অর্থনৈতিক হাব।

নোয়াখালী বিভাগ গঠনের দাবি নিয়ে জহিরুল ইসলাম বলেন, এটি শুধুমাত্র প্রশাসনিক সুবিধার জন্য নয়, বরং এটি একটি পূর্ণাঙ্গ অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলার ভিত্তি তৈরি করবে। বিভাগ প্রতিষ্ঠা হলে সরকারি পরিষেবা দ্রুত পৌঁছাবে, বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে এবং আঞ্চলিক উন্নয়নে নতুন মাত্রা যোগ হবে।

তিনি অভিযোগ করেন, স্বাধীনতার পর থেকে যারা রাজনীতি করেছেন, তারা নোয়াখালীর দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নে উদ্যোগ নেননি। রাজনীতিবিদরা নিজেদের স্বার্থে কাজ করেছেন, তাই নোয়াখালী এখনও অবহেলিত। আমাদের আন্দোলন শুধু নোয়াখালীর জন্য নয়, দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য। নোয়াখালীর উন্নয়ন মানে সারা দেশের উন্নয়ন।

সাক্ষাৎকারে তিনি জনগণ, ব্যবসায়ী এবং প্রবাসী কমিউনিটিকে আহ্বান জানান, নোয়াখালী বিভাগ এবং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জন্য একত্রিতভাবে উদ্যোগ নিলে নোয়াখালী দেশের অর্থনৈতিক হাব হয়ে উঠবে।