

মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে নোয়াখালীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি। এতে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, তাদের যৌক্তিক দাবি মেনে না নিলে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে শিক্ষকরা।
সোমবার বিকালে নোয়াখালী জেলা শহরের হরিনারায়ণপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি নোয়াখালী জেলা শাখা এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি নোয়াখালী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন অর রশিদের সঞ্চালনায় সংবাদ লিপি পাঠ করেন সংগঠনটির জেলা শাখার সভাপতি মো. আবুল কাসেম।
এসময় বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি নোয়াখালী জেলা শাখার প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ আলমগীর, কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এবিএম আবদুল আলীম, জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক মো. তোফাজ্জল হোসন, সদস্য নুরুল হুদা, আবদুল বাতেন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ লিপিতে মো. আবুল কাসেম বলেন, দেশের সিংহভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী দ্বারা। সেখানে আমরা এমপিওভুক্ত শিক্ষকগণ মাত্র ১ হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া, ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা এবং ৫শ’ টাকা চিকিৎসা ভাতা পেয়ে থাকি। যা সরকারি শিক্ষকদের সঙ্গে তুলনা করতে গেলে আকাশ পাতাল ব্যবধান হয়ে দাঁড়ায়। যদিও সরকারি শিক্ষক ও আমরা এমপিওভুক্ত শিক্ষকগণের একাডেমিক কর্মঘণ্টা সমান।
তিনি আরও বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে বিক্ষোভ, সমাবেশ, মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে একটাই দাবি জানিয়ে আসছি, তা হলো মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ করতে হবে। আমরা এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপিও পেশ করেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ করা হয়নি। মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ করা হলে শুধু শিক্ষকরাই উপকৃত হবে বিষয়টি এমন নয়, মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের মাধ্যমে শিক্ষার্থী অভিভাবক সবাই উপকৃত হবে। তাই আমাদের এই যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আকুল আবেন জানাচ্ছি। দাবি না মেনে নিলে আগামী ১১ জুলাই থেকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির হুশিয়ারী উচ্চারণ করা হয়।