

নোয়াখালী সদর উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়নে কাঠবাদামের
প্রলোভন দেখিয়ে ৬ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ৫০ বছর বয়সী মো.
কামাল উদ্দিন নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সুধারাম মডেল
থানার পুলিশ। এরআগে গত সোমবার (৪ মে) দুপুরে উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়নের চর
শুল্লুকিয়া গ্রামের পাকিস্তানীর বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত মো.
কামাল উদ্দিন চর শুল্লুকিয়া গ্রামের আনোয়ার উল্যার ছেলে। এদিকে স্থানীয়
একটি মহল ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।
ভুক্তভোগী
শিশুর মা অভিযোগ করে বলেন, গত সোমবার দুপুরে প্রতিবেশী কামাল উদ্দিনের
বাড়িতে তার ছেলের বৌয়ের কাছে একটি প্রয়োজনে আমার শিশু কন্যাকে পাঠায়। পরে
আমার কন্যা বাড়ি ফেরার পথে কামাল উদ্দিন আমার ৬ বছর বয়সী ছোট্ট কন্যাকে
কাঠবাদাম কুড়িয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের বাড়ির পাশের পুকুর পাড়ে নিয়ে
যায়। এসময় একটি গাছের নিচে তাঁর হাত-পা ও মুখ ছেপে ধরে তাঁর পরনের পায়জামা
খুলে তাকে নির্যাতন (ধর্ষণ) করে। পরে মুখ বন্ধ অবস্থায় মেয়ের কাঁতরানি শুনে
পাশের পথচারী এক নারী এগিয়ে আসলে কামাল দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। ওনারী ঘটনাটি
আমাদের এবং আশে-পাশের লোকজনকে জানালে পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। পরে আমরা
সমাজের গণ্যমান্য কয়েকজন ব্যক্তিকে বিষয়টি জানালে স্থানীয়রা বিষয়টি সমাধান
করবে বলে আমাদের আশ্বস্ত করেন।
ভুক্তভোগী শিশুর মা আরো জানায়, যদি
ওই মহিলা বিষয়টি না দেখে ফেলতো তাহলে আমার কন্যাকে মেরেই ফেলতো। আমরা যদি ৬
বছর বয়সী ছোট্ট এই শিশু নির্যাতনের (ধর্ষণের) ঘটনার সঠিক বিচার না পাই
তাহলে থানায় অভিযোগ করবো।
সরেজমিনে এবিষয়ে কথা বলতে চাইলে
অভিযুক্ত কামাল উদ্দিনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ঘটনাটি জানাজানির পরপরই ধর্ষক
কামাল উদ্দিন পালিয়ে গেছেন বলে জানান স্থানীয়রা। তবে বিষয়টি নিয়ে এলাকার
মানুষ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে অভিযুক্ত কামাল উদ্দিনের
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
এবিষয়ে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার
(এসপি) আবদুল্লাহ আল ফারুক জানান, ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোন
অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে আজ সকালে বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো
হয়েছে। ঘটনার সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।