দেশজুড়ে কয়েকদিন ধরেই বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। অতিরিক্ত গরমে-ঘামে ওষ্ঠাগত সব বয়সের মানুষের প্রাণ। এই তাপপ্রবাহ চলবে আগামী কয়েকদিন।
এমনকি অল্প সময়ের মধ্যেই তাপপ্রবাহ অতিতীব্র হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। এ অবস্থায় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের কয়েকটি বিভাগে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
হিট অ্যালার্ট বলতে কী বোঝায়:
হিট ওয়েভ বা তাপপ্রবাহ হলো অতিরিক্ত গরম আবহাওয়া। তাপপ্রবাহ সম্পর্কে যে সতর্কতা জারি করা হয় সেটাই মূলত হিট অ্যালার্ট বা হিট ওয়েভ অ্যালার্ট। তাপপ্রবাহ চরম মাত্রায় বাড়লে দাবানলের মতো দুর্যোগ দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকে। মানুষকে আসন্ন তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে সতর্ক করার উদ্দেশ্যেই হিট অ্যালার্ট জারি করে থাকে আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানিয়েছেন, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া চলমান তাপপ্রবাহ পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া এর মাত্রা আরো বাড়তে পারে। এ কারণে ঢাকাসহ এই ৪ বিভাগে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
তাপপ্রবাহের কারণে যা ঘটে:
বাইরের তাপমাত্রা আমাদের শরীরের তাপমাত্রাও বাড়িয়ে দেয়। এতে একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। শরীর হঠাৎ এই তাপমাত্রার পরিবর্তন মেনে নিতে পারে না। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়ে। অতিরিক্ত গরমে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দেয়। শরীরের প্রয়োজনীয় ফ্লুইড দ্রুত শুকিয়ে যায়। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে মাথাব্যথা দেখা দিতে পারে। এমনকি হিটস্ট্রোকও হতে পারে। এছাড়া মাথা ঘোরা, নিম্ন বা উচ্চ রক্তচাপ, শুষ্ক ত্বক, বমি বমি ভাব, বমি হতে পারে। এমনকি তীব্র গরমে মানুষ অজ্ঞানও হয়ে পড়তে পারে।
তাপপ্রবাহের প্রভাব থেকে রক্ষা পাবেন যেভাবে:
মানবদেহের ৭০ শতাংশই পানি। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে দেহের এ জলীয় অংশের পরিমাণ কমে যায়। এ কারণে তীব্র তাপপ্রবাহ চলাকালীন প্রচুর পানি, লেবুর শরবত, স্যালাইন ও তরল খাবার খেতে হবে। তেল-মশলা বা এ জাতীয় খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। দেহের কোনো অংশে সরাসরি রোদ লাগানো যাবে না। বাইরে বের হওয়ার সময় ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করতে হবে, সানগ্লাস ও ছাতা ব্যবহার করতে হবে।