পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে ঈদের দিন মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় চার কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরো দুইজন গুরুতর আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ( ১১ এপ্রিল) দুপুরে দেবীগঞ্জ পৌর সদরের নতুন বন্দর এলাকার সোনাহার-দেবীগঞ্জ সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- দেবীগঞ্জ উপজেলার দন্ডপাল ইউনিয়নের লোহাগাড়া সুপারি তলা এলাকার বাছের আলীর ছেলে কাউসার আলী (১৬) ও একই এলাকার ইয়াকুব আলীর ছেলে সাব্বির (১৭) এবং দেবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের খাঁ পাড়া এলাকার মজনুর ছেলে সাব্বির (২২), একই এলাকার হযরত আলীর ছেলে বরকত (১৮)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঈদের দিন দুপুর আনুমানিক একটার সময় ঘুরাঘুরির উদ্দেশ্যে দুটি পৃথক মোটরসাইকেলে তিনজন কিশোর খাঁ পাড়া থেকে দেবীগঞ্জে আসছিলো এবং অপর একটি মোটরসাইকেলে তিনজন কিশোর কালীগঞ্জের লোহাগার থেকে নীলসাগরের উদ্দেশ্য রওনা হয়। পথিমধ্যে নতুন বন্দর এলাকার দেবীগঞ্জ-সোনাহার সড়কে একটি ভ্যানকে সাইড দিতে গিয়ে দুটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় ছয়জনকে উদ্ধার করে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।
প্রাথমিক চিকিৎসা চলাকালীন সময় প্রথমে কাউসার আলী নামে একজনের মৃত্যু হয়। বাকীদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রংপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। রংপুরে যাওয়ার পথে লোহাগাড়া এলাকার সাব্বির (২২) নামে একজনের মৃত্যু হয় এবং রংপুর মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাব্বির ও বরকত নামে আরো দুই জনের মৃত্যু হয়।
রংপুর মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাব্বিরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে তার চাচাতো ভাই মনির বলেন, "সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় সাব্বিরকে রংপুরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে তার মৃত্যু হয়। তার মরদেহ বাসায় আনা হচ্ছে।"
এদিকে হাসপাতালে আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন কালীগঞ্জ লোহাগাড়া এলাকার জসিম উদ্দীনের ছেলে জাকারিয়া, সদর ইউনিয়নের খাঁ পাড়া এলাকার মোঃ মুসলিম হকের ছেলে সোহেল।
এ বিষয়ে দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম বলেন, "এখন পর্যন্ত আমরা অফিসিয়ালি দুইজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় সড়ক দুর্ঘটনা সংক্রান্ত মামলা রুজু করা হবে।"