বিপিএলে এবার চিটাগং কিংসের হয়ে খেলার কথা সাকিব আল হাসানের। চিটাগং কিংসের মালিক সামির কাদের চৌধুরী আশাবাদী, সাকিবকে শেষ পর্যন্ত খেলাতে পারবেন। কিন্তু রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশেই আসতে পারছেন না সাকিব। এ অবস্থায় ৩০ ডিসেম্বর শুরু একাদশ বিপিএলে তাঁর খেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
বিপিএলে দুবারের চ্যাম্পিয়ন ও চারবারের ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট সাকিবের না থাকাটাকে হতাশাজনকই মনে হচ্ছে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবির সাবেক পরিচালক খালেদ মাহমুদের। এবার ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচের দায়িত্বে থাকা মাহমুদ আজ মিরপুরের একাডেমি মাঠে অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের কাছে সে হতাশাই প্রকাশ করেছেন।
‘কোনো সন্দেহ নেই বাংলাদেশের সেরা ক্রিকেটার সাকিব। বিশ্বের ১ নম্বর ক্রিকেটার। সাকিবের না থাকাটা তো আমাদের সবার জন্যই একটা...’—মাহমুদ কথাটা শেষ করতে পারেননি হয়তো এ কারণেই যে সারা দুনিয়া চষে বেড়িয়ে বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলা সাকিব এবার খেলতে পারছেন না নিজ দেশের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টেই! সাকিবের বিপিএলে খেলতে না পারাটাকে নিজেদের জন্যই ব্যর্থতার মনে করেন তিনি, ‘সাকিব সারা জীবন ক্রিকেট খেলবে না, এটা সত্যি কথা। তবে সে যত দিন খেলে যাচ্ছে, এই সময়েও বাংলাদেশে ক্রিকেট খেলতে পারছে না, এটা আমাদের জন্য একটা ব্যর্থতা মনে করি আমি।
’খেলোয়াড়ি জীবনের শেষ দিকে রাজনীতিতে ঢুকেছেন সাকিব। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন সাত মাস। এতটুকু রাজনীতি করে সাকিব কতটা অন্যায় করেছেন, তা নিয়েও প্রশ্ন আছে মাহমুদের, ‘হয়তো ক্যারিয়ারের শেষ দিকে এসে রাজনীতি করেছে। তবে সারা বাংলাদেশ ওকে চেনে ক্রিকেটার হিসেবে। ওর উত্থান ক্রিকেটার হিসেবে। সারা বিশ্বে পরিচিতি ক্রিকেটার হিসেবে। রাজনীতি করেছে, কতটা অন্যায় করেছে, সেটা আমি বলতে পারব না।
’সাকিবের খেলার ব্যাপারে অন্যদের আরও বিচক্ষণতার পরিচয় দেওয়া উচিত ছিল বলেও মনে করেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাহমুদ, ‘ওই (রাজনীতির) সাত-আট মাস সময়টাকে আমরা ওর এত লম্বা ক্যারিয়ারের সঙ্গে মিলিয়ে ফেললাম, এটাই আমার কাছে সবচেয়ে অবাক লাগে। সেখানে আমরা যদি একটু বিচক্ষণতার পরিচয় দিতাম...দেশের একটা ক্রিকেটার, দেশের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট খেলতে পারবে না!
’মাহমুদের ধারণা, সাকিব দেশে এসে খেলতে না পারাতে অন্য ক্রিকেটাররাও হতাশ, তবে সেটা তাঁরা বলতে পারছেন না, ‘ক্রিকেটাররাও সবাই হতাশ আমার মনে হয়। সবাই হয়তো মাইকের সামনে বলতে পারে না, কিন্তু ক্রিকেটাররাও হতাশ। কারণ, সাকিবের সব ক্রিকেটারের সঙ্গেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। সবাইকে সবভাবে সহযোগিতা করে সে।’