ভারতের একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন দাবি করেছে, বাংলাদেশে হিন্দুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ভারতের উচিত সেদেশে সেনাবাহিনী পাঠানোর কথা বিবেচনা করা। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দিল্লিতে ভারতের জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি করে তারা।
রাষ্ট্রবাদী সনাতনী হিন্দু সংগঠনের সভাপতি অরবিন্দ বিশ্বাস বলেন, ভারত যদি শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধ থামাতে অতীতে সেদেশে ভারতীয় শান্তিরক্ষী পাঠাতে পারে, তাহলে আমরা মনে করি; এখন বাংলাদেশের হিন্দুদের রক্ষা করতেও সেদেশে ভারতীয় সেনা পাঠানো দরকার!
ওই সংগঠনটির বক্তব্য, বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন ও অত্যাচার যে পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং সেদেশের পুলিশ-প্রশাসন যেমন নির্বিকার ভাব দেখাচ্ছে, তাতে এখন ‘সামরিক উপায়ে’ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করাই ভারতের সামনে একমাত্র রাস্তা।
দিল্লি সংবাদদাতা শুভজ্যোতি ঘোষ জানাচ্ছেন, প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়ার ওই সংবাদ সম্মেলন থেকে বাংলাদেশে সনাতনী সম্প্রদায়ের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসেরও অবিলম্বে মুক্তি দাবি করা হয়।
আমেরিকা ভিত্তিক মানবাধিকার কর্মী প্রিয়তোষ দে সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে বলেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন বা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোও বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন নিয়ে নীরব। তাদের এই ভূমিকা অত্যন্ত দুঃখজনক।
এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবসেও দিল্লিতে বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন একই দাবিতে দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশন অভিমুখে পদযাত্রা করেছিল। তবে নিরাপত্তাগত কারণে দিল্লি পুলিশ তাদের দূতাবাস ভবন পর্যন্ত যেতে দেয়নি।