চলতি বিপিএলে চতুর্থ ম্যাচে প্রথম জয়ের স্বাদ পেয়েছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। এবার নিজেদের পঞ্চম ম্যাচেও জয়ের ধারা অব্যাহত রাখলো তারা। খুলনা টাইগার্সকে ৮ রানে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় পেলো আরিফুল হকের দল। অন্যদিকে টানা দ্বিতীয় পরাজয় দেখলো মেহেদী হাসান মিরাজের দল।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৮২ রান তোলে সিলেট স্ট্রাইকার্স। জবাবে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রানে থামে খুলনা। এতে ৮ রানের জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দেখেশুনেই ব্যাট করেছিলেন দুই ওপেনার উইলিয়াম বোসিস্টো ও মোহাম্মদ নাঈম। তবে দুই অঙ্কের কোটা পেরোনোর পর বেশিক্ষণ ক্রিজে থিতু হতে পারেননি নাঈম। দলীয় ১৭ রানে ব্যক্তিগত ১১ রানে ফেরেন এই ওপেনার।
এরপর উইকেটে থিতু হতে পারেননি ইমরুল কায়েস-ও। তানজিমকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে পয়েন্টে রনি তালুকদারের মুঠোবন্দি হয়ে ৩ বলে ২ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তার বিদায়ের পর চারে নামা রাসুলি ১৫ রান যোগ করে এবং ১৫ রানের ইনিংস খেলে ফেরেন মিরাজ।
এরপর ৩২ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয় কাটানোর চেষ্টা করেছিলেন মোহাম্মদ নওয়াজ ও মাহিদুল অঙ্কন। তবে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ১৮ বলে ৩৩ রানের বেশি করতে পারেননি নওয়াজ। অন্যপ্রান্তে ১৬ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলেন অঙ্কন।
এ ছাড়া ৬ বলে ১৪ রান করেন আবু হায়দার রনি। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৮ রানের সমীকরণ ছিল খুলনার। তবে আশা জাগিয়েও তা পূরণ করতে পারেনি মেহেদী হাসান মিরাজের দল।
এর আগে, ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি সিলেটের। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে মোটে ২১ রান তোলে তারা। বিপরীতে রাহকিম কর্নওয়াল ও জর্জ মানসির উইকেট হারায় তারা।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলের হাল ধরেন রনি তালুকদার ও জাকির হাসান। তাদের ১০৬ রানের জুটিতে বিপর্যয় কাটায় স্বাগতিকরা। ১৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানো দলটি দলীয় ১২১ রানে তৃতীয় উইকেট হারায়। ৪৪ বলে ৫৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন রনি।
রনি ফেরার পরও স্কোরশিট সচল রাখেন জাকির। ৬ বলে ২০ রানের ক্যামিওতে তাকে দুর্দান্ত সঙ্গ দেন অ্যারন জোন্স। শেষদিকে অধিনায়ক আরিফুল হকের ১২ বলে অপরাজিত ২০ রানে সিলেটের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৮২ রান। আর ৩ চার ও ৬ ছক্কায় ৪৬ বলে ৭৫ রান করে অপরাজিত থাকেন জাকির।
খুলনার হয়ে আবু হায়দার রনি ও জিয়াউর দুটি করে এবং নাসুম একটি উইকেট নেন।