নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী ও চাটখিল উপজেলাকে একটি উন্নত ও মানবিক শিক্ষানগরী হিসেবে গড়ে তুলতে ‘৫ শূন্য’র অভিযান শুরু করেছে ডা. মোস্তফা হাজেরা ফাউন্ডেশন। এই অভিযানে ইতিমধ্যে ৩০ হাজার মানুষকে ফ্রি চিকিৎসাসেবা ও বিনামূল্যে ওষুধ প্রদান করা হয়েছে।
সোনাইমুড়ী ও চাটখিল উপজেলায় হাজার কোটি টাকার স্বাস্থ্যসেবা প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মে মাসব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও ফ্রী অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালুর মাধ্যমে এই ‘৫ শূন্য’র অভিযান শুরু করে ফাউন্ডেশনটি।
দুটি উপজেলার সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে হাজার কোটি টাকার স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা প্রকল্পের উদ্বোধন করেন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও পৃষ্ঠপোষক ক্যাপ্টেন এ.কে.এম গোলাম কিবরিয়া, গোলাম মর্তুজা ও জহিরুল ইসলাম।
ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা জানান, প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চাটখিল ও সোনাইমুড়ি উপজেলার পৌরসভা ও ১৭টি ইউনিয়নে ৫৭টি ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প শুরু করা হয়। এতে গত ১২ মে থেকে ০২ জুন পর্যন্ত ঢাকা থেকে আগত ০৭জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে ৩০ হাজার মানুষকে ফ্রি চিকিৎসাসেবা ও বিনামূল্য ওষুধ সরবরাহ করা হয়। পাশাপাশি রোগীদের রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ও ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা হয়। একই সঙ্গে ডা. মোস্তফা হাজেরা ফাউন্ডেশন সোনাইমুড়ী ও চাটখিল উপজেলার মানুষের চিকিৎসা সেবায় সহায়তার লক্ষ্যে বিনামূল্যে এম্বুলেন্স সেবা চালু করা হয়।
ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও পৃষ্ঠপোষক ক্যাপ্টেন এ.কে.এম গোলাম কিবরিয়া, গোলাম মর্তুজা ও জহিরুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ ১০ বছর ধরে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে ডা. মোস্তফা হাজেরা ফাউন্ডেশনটি। স্বাস্থ্যসেবা একজন মানুষের জন্মগত অধিকার। যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর এবং বাংলাদেশের চিকিৎসকদের সমন্বয়ে চাটখিল ও সোনাইমুড়ী উপজেলার শতভাগ মানুষের উন্নত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে হাজার কোটি টাকার স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা প্রকল্প চালু করেছে ডা. মোস্তফা হাজেরা ফাউন্ডেশন। এই প্রকল্প বাংলাদেশসহ বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশে চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা প্রকল্প বাস্তবায়নের পাশাপাশি, ‘৫ শূন্য’র সোনাইমুড়ী ও চাটখিল উপজেলা গড়ে তোলার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এই দু’টি উপজেলাকে আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে শূন্য নিরক্ষর, শূন্য অদক্ষ যুবশক্তি, শূন্য চিকিৎসাহীন মৃত্যু, শূন্য ভিক্ষুক ও শূন্য গৃহহীন মুক্ত করে ‘৫ শূন্য’র একটি উন্নত ও মানবিক শিক্ষানগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তারা।