নোয়াখালী পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের পুলিশ সুপার মো. নুরুল আমিন এবং তার পিতা মমদু মিয়ার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ১৪ অক্টোবর হবিগঞ্জের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে এ মামলা দায়ের করেন বানিয়াচং উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের গানপুর গ্রামের নুরুল আমিন চৌধুরী।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, নুরুল আমিন তার অবৈধ রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে তার পিতাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত করেন এবং জাল মুক্তিযোদ্ধা সনদ সংগ্রহ করেন। এর মাধ্যমে তিনি ২৮তম বিসিএস পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বাংলাদেশ পুলিশে এএসপি পদে চাকরি নেন।
চাকরিতে যোগদানের পর থেকেই নুরুল আমিন প্রভাব বিস্তার করে নামে-বেনামে বিপুল সম্পদের মালিক হন। তিনি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার হারুনের সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন এবং গত জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র আন্দোলনে কঠোর ভূমিকা পালন করেন। এসময় আন্দোলনকারীদের হত্যার অভিযোগে নুরুল আমিনের বিরুদ্ধে ঢাকার নিউ মার্কেট থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
এদিকে, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ ও অবৈধভাবে চাকরি প্রাপ্তির অভিযোগে নুরুল আমিন ও তার পিতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ২৭ আগস্ট দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) হবিগঞ্জ শাখায় লিখিত আবেদন করেন নুরুল আমিন চৌধুরী। দুদক থেকে তাকে থানায় মামলা করার পরামর্শ দেয়া হয়। তবে বানিয়াচং থানায় মামলা গ্রহণ না করায় তিনি ১৪ অক্টোবর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলাটি তদন্তপূর্বক ২৪ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে নির্দেশ দেন।
এ ব্যাপারে নোয়াখালী পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের পুলিশ সুপার মো. নুরুল আমিনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনো সাড়া দেননি।
মামলার তদন্ত এখন দুর্নীতি দমন কমিশনের হাতে।