দেশে গত একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরো সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে চলতি বছর মোট মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬৭ জনে। এছাড়া গত একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১ হাজার ২১১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন; তাতে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭৪ হাজার ৮০০ জনে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালে ৪৩০ জন, ঢাকা বিভাগে ২৭২ জন, ময়মনসিংহে ৪৩ জন, চট্টগ্রামে ১৩৯ জন, খুলনায় ১৩০ জন, রাজশাহী বিভাগে ৬৭ জন, রংপুর বিভাগে ১৮ জন, বরিশাল বিভাগে ১০৮ জন এবং সিলেট বিভাগের হাসপাতালে তিনজন ভর্তি হয়েছেন।
গত এক দিনে যারা মারা যাওয়াদের মধ্যে তিনজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বাকি চারজন বরিশাল বিভাগ, চট্টগ্রাম বিভাগ, ঢাকা বিভাগ এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ৩ হাজার ৯৮০ জন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ১ হাজার ৮৩৮ জন; আর ২ হাজার ১৪২ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ বছর মোট ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৪৪ হাজার ১৫৪ জন ঢাকার বাইরের। ঢাকার দুই মহানগর এলাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩০ হাজার ৬৪৬ জন।
চলতি বছর সবচেয়ে বেশি ৩০ হাজার ৮৭৯ জন রোগী ভর্তি হয়েছে অক্টোবর মাসে, মৃত্যু হয়েছে ১৩৪ জনের। নভেম্বরের প্রথম ১২ দিনে ১২ হাজার ৯৮৩ জন রোগী ভর্তি হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে ৭০ জনের। জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ১ হাজার ৫৫ জন, এর মধ্যে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ফেব্রুয়ারি মাসে হাসপাতালে ভর্তি হন ৩৩৯ জন, মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। মার্চ মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১১ জন, মারা গেছেন পাঁচজন। এপ্রিল মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫০৪ জন, মৃত্যু হয়েছে দুইজনের। মে মাসে ৬৪৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। জুন মাসে ৭৯৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের।
জুলাই মাসে ২ হাজার ৬৬৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হন, তাদের মধ্যে ১২ জনের মৃত্যু হয়। অগাস্টে ৬ হাজার ৫২১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন, তাদের মধ্যে ২৭ জন মারা যান। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর তথ্য রাখে ২০০০ সাল থেকে। এরমধ্যে ২০২৩ সালে এ রোগ নিয়ে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যুও হয় ওই বছর।