সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়নি। কেউ অবৈধভাবে ক্ষমতাদখল করলে তার বিচার হবেই। বাংলাদেশের সংবিধান মেনেই বাংলার মাটিতেই তার বিচার হবে। ফ্যাসিবাদী, গণহত্যাকারীদের বিচার হবে। আজকের অন্ধকার কেটে নতুন সূর্যোদয় দেখবে বাংলাদেশ। রবিবার (৯ ডিসেম্বর) লন্ডনের মিলনার রোডে ভার্চুয়াল বক্তৃতায় শেখ হাসিনা এই মন্তব্য করেন।
আওয়ামী লীগের সমর্থকদের আয়োজিত সভায় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে শেখ হাসিনা দাবি করেন, তিনি কাউকে খুন করেননি। তবে যারা এখন খুন করছেন, তাদের বিচার একদিন হবে। বাংলাদেশে এখন ‘অরাজকতা’ চলছে। নাগরিকদের কোনো শান্তি নেই সেখানে। তার কথায়, ‘ঘরে শান্তিতে ঘুমানোর উপায় নেই। চুরি, ডাকাতি হচ্ছে। যে কোনো সময় তদন্ত হতে পারে। এই তদন্তের নির্দেশ কে দিচ্ছেন?’
বাংলাদেশের মানুষের এখন ‘ন্যায়বিচার’ চাওয়ার অধিকার নেই বলে দাবি করেন শেখ হাসিনা। সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের দিকেই বার বার আঙুল তুলেছেন তিনি। তার কথায়, ‘নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে। তারা মানুষের পাশে দাঁড়াতেন। অথচ এখন বন্যা, ঝড় গেল, কিন্তু তার পরে কেউ মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি। আজ জনপ্রতিনিধিরা থাকলে মানুষের পাশে দাঁড়াতেন।’ গত আগাস্ট মাস থেকে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর হেনস্থা, নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। শেখ হাসিনা দাবি করেছেন, সরকারি কর্মীদের এই হেনস্থা বন্ধ করতে হবে। ‘মিথ্যা মামলা’ থেকে রেহাই দিতে হবে। কাজে ফেরাতে হবে।
বাংলাদেশে জনবিক্ষোভের সময় পুলিশ, সরকারি কর্মীদের মারধর, হত্যা, সরকারি সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগ উঠেছে। অন্তর্বর্তী সরকার ওই ঘটনায় অভিযুক্তদের ক্ষমা করেছে। তা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন হাসিনা। তিনি বলেন, ১৫ জুলাইয়ের পর থেকে যারা অপরাধ করেছে তাদের ক্ষমা করা হয়েছে। যত হত্যাকাণ্ড হয়েছে, আগুন ধরানো হয়েছে, তদন্ত করে তাদের বিচার করতে হবে। মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।