নোয়াখালীর সদর উপজেলায় নিখোঁজের ২ দিন পর শৌচাগারের সেপটিকট্যাংক থেকে আব্দুুল হামিদ রায়হান (১৭) নামে এক স্কুল ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। তবে পুলিশ ও নিহতের স্বজনেরা তাৎক্ষণিক হত্যাকান্ডের কোনো কারণ জানাতে পারেনি।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের
৬নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ হুগলি গ্রামের নাপিত বাড়ির সেফটিকট্যাংক থেকে এ লাশ
উদ্ধার করা হয়। এরআগে, গত মঙ্গলবার ২৫ মার্চ রাত ৮টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে
মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ার পথে রায়হান নিখোঁজ হয়।
নিহত রায়হান
একই গ্রামের হাজী বাড়ির কৃষক আলমগীরের ছেলে এবং স্থানীয় খলিফারহাট উচ্চ
বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। অপরদিকে, আটক মারুফ (২৫) একই বাড়ির
মো.সেলিমের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়,গত মঙ্গলবার রাতে ঘর
থেকে মসজিদে যাওয়ার পথে স্কুল ছাত্র রায়হান নিখোঁজ হয়। এরপরদিন একই বাড়ির
তার দূরসম্পর্কের চাচা মারুফকে পুলিশের সহযোগিতায় আটক করে পুলিশে হস্তান্তর
করে নিহতের স্বজনেরা। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে রায়হানকে হত্যা করে লাশ
সেপটিকট্যাংকে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে জানান মারুফ। পরে তার ভাষ্যমতে পুলিশ
লাশ উদ্ধার করে। রায়হানকে হত্যার পরে মুঠোফোনে নিহতের পরিবারের কাছে ১৫
লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে মারুফ। ওই কললিস্টের সূত্র ধরে পুলিশ ঘাতক
খুনিকে আটক করে।
নিহতের বড় ভাই হারুনুর রশিদ বলেন, মারুফের সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। তিনি কেন আমার ভাইকে হত্যা করেছে বিষয়টি আমরা জানিনা।
সুধারাম
থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো.শেখ কামাল বলেন, রায়হান বাড়ি থেকে নামাজ পড়তে
যাওয়ার পথে মারুফ ডাব পাড়ার কথা বলে রায়হানকে বাড়ির পাশের নাপিত বাড়ির
বাগানে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে সেখানে আরও ৩-৪জন যুবকসহ রায়হানের চোখের
ভ্রুয়ের ওপর চুরিকাঘাত ও মারধর করে তাকে হত্যা করে লাশ ওই বাড়ির চৌশাগারের
সেফটিকট্যাংকে ফেলে দেয়।
এসআই মো.শেখ কামাল আরও বলেন, পুলিশ অপর
আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযানে চালিয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হলে তারা গা ডাকা
দেয়। নিহত রায়হানের লাশ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের
মর্গে রাখা আছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা
যাবে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে।