নোয়াখালী সদরে অটোরিকশা চালক কিশোর মো. বাবরকে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাইকারীদের সনাক্ত করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতারের আল্টিমেটাম দিয়েছেন স্থানীয় গ্রামবাসী।
রোববার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এলাকার
সর্বস্তরের জনগনের ব্যানারে আয়োজিত ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে পুলিশ সুপার
কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে এই আল্টিমেটাম দেয় স্থানীয়রা।
মানববন্ধন,
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, নোয়াখালী পৌরসভার মধ্যম করিমপুর গ্রামের
বাসিন্দা মো. শাহজাহান, সাইফুল ইসলাম উজ্জল, মো. রিয়াজ, নিহতের তিন বোন
মিনা আক্তার, রুনা আক্তার, শারমিন আক্তারসহ অনেকেই।
এসময় বক্তারা বলেন,
গত ৯ এপ্রিল বুধবার রাত ১০টার দিকে নোয়াখালী পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড মধ্যম
করিমপুর গ্রামের বাবা-মা হারা কিশোর মো. বাবরকে তার অটোরিকশাসহ গুম করে
নিয়ে যায় দুবৃর্ত্তরা। পরে তার মুঠোফোনে কল করা হলে একজন ফোন রিসিভ করে
বলেন, ফোনটি তিনি সোনাপুর জিরোপয়েন্টে পেয়েছেন। পরবর্তীতে বাবরের পরিবারের
সদস্যরা দ্রুত সোনাপুর জিরোপয়েন্টে গিয়ে তার মুঠোফোনে কল করলে ফোনটি বন্ধ
পাওয়া যায়। বিষয়টি তারা সুধারাম মডেল থানা এবং সোনাপুর পুলিশ পাড়িতে অবগত
করেন। পরের দিন বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে সদর উপজেলার নোয়াখালী
ইউনিয়নের ডাক্তার বাজার স্লুইস গেইট খাল সংলগ্ন কবরস্থানে স্থানীয়রা একটি
লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার
করলে ওই লাশ অটোরিকশা চালক মো. বাবরের বলে সনাক্ত হয়।
বক্তরা বলেন, ওই
দিনই বাবরের পরিবার সুধারাম মডেল থানায় বাবর হত্যার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের
করেন। কিন্তু ঘটনার ৪দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এখনো হত্যাকারীদের সনাক্ত
কিংবা গ্রেফতার করতে পারেনি। তথ্য প্রযুক্তির যুগে একটি হত্যার রহস্য
উম্মোচনে এতটা সময় ক্ষেপন হওয়াকে পুলিশের দায়িত্বহীনতা বলে দাবি করছেন
বিক্ষোভকারীরা। তাই অনতিবিলম্বে ২৪ ঘন্টার মধ্যে বাবর হত্যাকারীদের সনাক্ত
করে গ্রেফতারের দাবি জানান গ্রামবাসী। না হলে তারা কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার
হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, ঘটনায় জড়িতদের সনাক্ত এবং তাদের গ্রেফতারে পুলিশের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা যাবে।