ঢাকা সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪

Rupalibank

দেশের নিট রিজার্ভ ১৬ বিলিয়ন ডলার


স্মার্ট প্রতিবেদক
১০:১৯ - মঙ্গলবার, জুলাই ২, ২০২৪
দেশের নিট রিজার্ভ ১৬ বিলিয়ন ডলার

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) স্বীকৃত নিট রিজার্ভ তথ্য প্রথমবারের মত আনুষ্ঠানিকভাবে জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক সাংবাদিকদের বলেছেন, গত জুন শেষে আইএমএফ স্বীকৃত বিপিএম-৬ অনুযায়ী নিট রিজার্ভ ১৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি। তবে, প্রকৃত পরিমাণ কতো তা স্পষ্ট করেননি।

গত বছরের জানুয়ারিতে আইএমএফের ঋণ পাওয়ার পর ২০২৩ সালের জুলাই থেকে বিপিএম-৬ পদ্ধতির গ্রস রিজার্ভের তথ্য জানিয়ে আসছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তখন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, নিট রিজার্ভের তথ্য প্রকাশ করবেন না।

সেই থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের তিনটি হিসাব করে আসছে। বাংলাদেশ ব্যাংক মঙ্গলবার জানিয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রস হিসাব অনুযায়ী গত জুন শেষে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার। আর বিপিএম-৬ এর গ্রস হিসাবে তা ২১ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার ও নিট রিজার্ভ ১৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি।

নিট রিজার্ভ হচ্ছে, বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চিতি থেকে সব প্রকার দায়-দেনা বাদ দেয়ার পর যা থাকে। আইএমএফের সদস্য রাষ্ট্রগুলো নিট রিজার্ভের তথ্য প্রকাশ করে থাকে।

শর্ত বাস্তবায়ন করতে আইমএফের তৃতীয় কিস্তি পাওয়ার পর প্রথমবার নিট রিজার্ভের তথ্য জানাল বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ হিসাবে নিট রিজার্ভের চেয়ে ১০ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার বেশি দেখাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী, কোনো দেশের আমদানি ব্যয় মেটাতে তিন মাসের মত রিজার্ভ থাকতে হয়।

নিয়ন্ত্রণ করার পরেও বাংলাদেশের গড়ে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি আমদানি ব্যয় হচ্ছে প্রতি মাসে। গত মাসে তা ছয় বিলিয়ন ডলার ছুয়েছে। এ হিসাবে তিন মাসের আমদানি দায় মেটানোর মত রিজার্ভ হাতে নেই বাংলাদেশ ব্যাংকের।

আইএমএফ ও কয়েকটি সংস্থার পাশাপাশি কোরিয়া থেকে আসা ঋণ এবং রেমিটেন্স মিলিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছিলো, গত ২৭ জুন বাংলাদেশের গ্রস রিজার্ভ ছিলো ২৭ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার। বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে তা ২২ বিলিয়ন ডলার। এর তিন দিন পরেই বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবেই রিজার্ভ কমলো ৩৪ কোটি ডলার।

নতুন শর্ত অনুযায়ী, আগামী সেপ্টেম্বরের শেষে নিট রিজার্ভ ১৪ দশমিক ৮৮ ও ডিসেম্বরের শেষে তা ১৫ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে হবে বাংলাদেশকে।