এখন পর্যন্ত সর্বমোট ৮ লাখ ৬৭ হাজার ৯৭৭টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। তাতে উপকারভোগী মোট মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৩ লাখ ৩৯ হাজারেরও বেশি। এই দুঃখী দরিদ্র মানুষগুলো জীবনে প্রথমবারের মতো গৃহের মালিকানা পেয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মেখ হাসিনা।
বুধবার (৩ জুলাই) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তোর পর্বে এমপি আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব তথ্য জানান। এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদে সভাপতিত্ব করছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ৫৮টি জেলা এবং ৪৬৪টি উপজেলা সম্পূর্ণভাবে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত হয়েছে। ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা ও রাজশাহী এ ৫টি বিভাগ এখন সম্পূর্ণভাবে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত। অর্থাৎ এসব জেলা, উপজেলা ও বিভাগে কোন ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষ নেই। এছাড়া ব্যারাক হাউসের মাধ্যমে ১৯৯৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত আমরা মোট ১ লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৮টি পরিবারকে পুনর্বাসন করেছি। ব্যারাক হাউসেও কিন্তু আমরা পরিবারপ্রতি কবুলিয়ত সম্পাদন করে দিয়েছি অর্থাৎ সেখানেও মানুষে মালিকানা তৈরি হয়েছে।
এমপি হাবিবুর রহমানের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, ২০৪১ সালের মধ্যে পরিচ্ছন্ন জ্বালানি থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এমপি রনজিত চন্দ্র সরকারের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাওড় এলাকার উন্নয়নের জন্য ৭কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০ বছর মেয়াদী একটি হাওড় মহাপরিকল্পণা তৈরি করা হয়েছে।
এমপি আফজাল হোসেন এর এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে ৩২ লাখ প্রতিবন্ধীকে ভাতা দেবার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা খাতে ১ লাখ ৩৬ হাজার ২৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।