লিবিয়ার উপকূলে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে আটজন বাংলাদেশি রয়েছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম। এ ঘটনায় এখনো অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। এক্ষেত্রে বাংলাদেশি মৃতের সংখ্যা আরো বাড়ার আশঙ্কা করা যাচ্ছে।
গত ১৮ ডিসেম্বর লিবিয়ার উপকূলে ভূমধ্যসাগরে এই নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র জানান, ১২১ অভিবাসী বহনকারী একটি নৌকা গত ১৮ ডিসেম্বর লিবিয়ার উপকূলে ভূমধ্যসাগরে বিধ্বস্ত হয়েছে। লিবিয়ার নৌবাহিনী ঘটনাস্থল থেকে ৮২ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে এবং কমপক্ষে ১৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে।
তিনি বলেন, এ ঘটনার পর লিবিয়ার ত্রিপলিতে অবস্থিত আমাদের দূতাবাসের কর্মকর্তারা দ্রুততার সঙ্গে বেশ কয়েকটি সূত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং স্থানীয় রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির একজন স্বেচ্ছাসেবক তাদের নিশ্চিত করেছেন যে উদ্ধারকৃতদের মধ্যে আটজন নিহতসহ মোট ৩২ জন বাংলাদেশি অভিবাসী রয়েছেন। বাকি অভিবাসীরা এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
মুখপাত্র বলেন, জীবিতদের বর্তমানে ত্রিপলি থেকে ৮০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত জাওয়াইয়া সিটিতে রাখা হয়েছে এবং মরদেহ পাবলিক প্রসিকিউশনের তত্ত্বাবধানে জাওয়াইয়া হাসপাতালে রাখা হয়েছে। নিখোঁজদের মধ্যে আরো বাংলাদেশি নাগরিক থাকতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ দুর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশিদের পরিচয় নিশ্চিত করতে আমাদের ত্রিপলিতে অবস্থিত দূতাবাস কাজ করছে। দূতাবাসের কর্মকর্তারা লিবিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি নিয়ে বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করছে। তাদের সঙ্গে দেখা করার পরে এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে। এ বিষয়ে ত্রিপলিতে অবস্থিত দূতাবাসের সঙ্গে আমাদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে বলে জানান মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম।
এর আগেও লিবিয়া উপকূলে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিতে অবৈধ অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে নৌকা ডুবির ঘটনায় অনেক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার তাদের এমন অনুপ্রবেশের চেষ্টাকে সমর্থন করে না এবং এটি বন্ধে সচেতনামূলক প্রচার ও বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে।