নোয়াখালীকে প্রশাসনিক বিভাগ ঘোষণা ও বাস্তবায়নের দাবিতে আবারও উত্তাল হয়ে
ওঠেছে নোয়াখালী। এবার জেলা সমাবেশে অংশ নিয়ে হাজার হাজার মানুষ ‘এক দফা
দাবি-নোয়াখালী বিভাগ চাই’ স্লোগান দিয়েছেন।
রোববার দুপুরে জেলা শহর মাইজদীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে বর্ণাঢ্য
জেলা সমাবেশ করেছে ডা. মোস্তফা-হাজেরা ফাউন্ডেশন, নোয়াখালী বিভাগ
বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদসহ বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের
নেতাকর্মীরা।
সমাবেশে নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়ন সংগ্রাম
পরিষদের সভাপতি সাইফুর রহমান রাসেলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ডা.
মোস্তফা হাজেরা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়ন
সংগ্রাম পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা মো. জহিরুল ইসলাম কাউসার।
সমাবেশে
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বৃহত্তর নোয়াখালীর জনপ্রিয় কনটেন্ট
ক্রিয়েটর ফরহাদুল ইসলাম পাভেল, নোয়াখালী সংস্কার ফোরামের সভাপতি আ. মাহমুদ,
নিরাপদ নোয়াখালী চাই সুবর্ণচর শাখার সভাপতি হেলাল উদ্দিন, চৌমুহনী ব্লাড
ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা টি.আই সুজন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নোয়াখালীর
সিনিয়র মুখপাত্র আপন আহমেদ প্রমূখ।
সমাবেশে বক্তারা
বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগেই নোয়াখালীকে প্রশাসনিক বিভাগ ঘোষণা ও
বাস্তবায়নের কোন বিকল্প নেই। দীর্ঘ দশকের অবহেলা, অবকাঠামোগত পশ্চাদপদতা,
স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, যোগাযোগ ব্যবস্থার অনগ্ররতা এবং বিস্তীর্ণ জনসংখ্যা
ও ভৌগোলিক বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে নোয়াখালীকে পৃথক বিভাগ করা সময়ের দাবি
হয়ে ওঠেছে।
বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে আরও বলেন, নোয়াখালী
বিভাগ ঘোষণা ও বাস্তবায়নের আন্দোলন এখন এক দফার দাবিতে পরিনত হয়েছে। তাই
সরকার যদি দ্রুত নোয়াখালী বিভাগ ঘোষণা না দেয়, তবে জলপথ, স্থলপথ অবরোধ ও
রেমিট্যান্স শাটডাউনসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
বিভাগ
বাস্তবায়ন আন্দোলনকারীদের দাবি, নোয়াখালী অঞ্চলের ১০ লাখ প্রবাসী দেশে
বিপুল পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠালেও উন্নয়ন বরাবরই পিছিয়ে রয়েছে এই জনপদ। ফলে
‘রেমিট্যান্স শাটডাউন’ হবে ন্যায়সংগত প্রতিবাদের একটি প্রতীকী বার্তা।
নোয়াখালীর
বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজার হাজার মানুষ বিভাগ দাবির স্লোগন যুক্ত
ব্যানার-পেষ্টুন হাতে নিয়ে সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন। এসময় তারা ‘এক দফা-
নোয়াখালী বিভাগ চাই’ স্লোগান দেন। তাদের স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো
নোয়াখালী শহর।