এমন বাস্তবতা দেখছি অনেককে উপকার করে এখন সে পারলে চিনেই না, কেউ কেউ অকৃতজ্ঞ হয়ে গেছে। আবার কেউ কৃতজ্ঞ। কেউ কেউ সামনে একটু ভালো বলে, পেছনে বদনাম করে। কেউ কেউ মনে রেখেছে কৃতজ্ঞতা চিত্তে স্মরণ করে, তার সংখ্যা নিতান্তই কম। মানুষের আচরণ ও সৌজন্যতা বোধ পরিবর্তনের দায়িত্ব কেউ নিতে পারবে না। তবে সব শাস্্রগ্রন্থেই পাওয়া যায় “মানুষ তার কর্মের ফল পাবে”।
আপাত দৃষ্টিতে যে মানুষটা নিঃস্বার্থভাবে উপকার করেছে সেই মহৎপ্রাণ মানুষটার বুকে আগুন জালিয়ে সুখ পেতে যাচ্ছেন মনে করছেন, সেটা স¤পূর্ণ ভুল। এসব করে সে সব উপকারভোগী বেইমান হিসেবে চিহ্নিত হলেন। আর সরলমনে যে আপনাকে উপকার করলো সে কতো বড় মাপের উদার মনের মানুষ আপনার মতো নীচ চরিত্রের মনমানসিকতার মানুষের পক্ষে সেটা বুঝা সম্ভব না। তাতে ভাবছেন আপনি অনেক চালাক চতুর আর ওনি তো সহজ সরল মানুষ সেটা ও আপনার মতো জঘন্য হীন মানুষের পক্ষে অনুধাবন করা সম্ভব নয়।
ভাবছেন উপকার করা লোকটা ভুল করে যাচ্ছেন সেটা ও আপনার অযোগ্যতা। কারণ সেই সরল মনা উপকার করা মানুষের আহার ফলে সময় সাপেক্ষে আপনার আচরণের কারণে তার ফলাফল ইহকালেই অচিরেই ঘটবে, আপনার মানষিক চাপ অস্বিরতা বেড়ে র্নিঘুম রাত কাটবে।
আপনি বুঝে শুনে অন্যের হকে বাধাগ্রস্ত করে কান কথায় ক্ষিপ্ত হয়ে যোগ্য মানুষটাকে ঠকিয়ে আনন্দের ঢেকুর তোলে সুখ সুখ ভাব পাচ্ছেন আপনার পরিনতি সময় মতো প্রকৃতির নিয়মেই ঘটবে। হয়তো বা হাসপাতালের বেডে অজানা রহস্য জনক রোগে পরাস্ত হয়ে কাতকাতরাতে হতে হবে, মানষিক ভারসাম্য হারিয়ে নিথর হয়ে পড়ে ফেলফেলিয়ে তাকিয়ে থেকে আপনি চোখের সামনেই অতীত ভুলের কারণে আপনার জীবন কঠিন হয়ে যাচ্ছে। সেদিন আপনার অতীত অপকর্মের জন্য আফসুস করে যেতে হবে শোধরাবার সুযোগ ও হয়তো পাবেন না। এমন কী আপনার ভুলের জন্য পরবর্তী প্রজন্ম তলানিতে এসে যাবে সমাজের মানুষ মিলাতে পারছেন না এমন পরিবারটি এমন হলো কিভাবে। আপনার পরকালে তো নিশ্চিত শাস্থি অপেক্ষা করছে। আর সরল মানুষটার বংশধররা শান্তি স্বস্তির ও আনন্দের সাথে সন্মানের সাথে উন্নতর জীবন লাভ করছে।
অতএব সাধু ভেবে দেখেন আপনি সাময়িক গদগদ খুশীতে ভাসবেন নাকি দীর্ঘস্থায়ী আনন্দ ময় নিজের জীবন ও আপনার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুন্দর জীবনের লক্ষ নিয়ে কাজ করে যাবেন।
মনে রাখতে হবে “সরলতায় অমৃতসুধা আর অসরলতায় থাকে বিষ”। সম্পূর্ণ নিজস্ব ভাবনা থেকে লেখা। কারো জন্য উপকারে আসলে শান্তি স্বস্তি লাগবে।
লেখক : অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউসুফ মিঞা
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।