ঢাকা সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪

Rupalibank

হজের প্রকারভেদ ও নিয়ত


স্মার্ট প্রতিবেদক
৯:১২ - বৃহস্পতিবার, মে ৯, ২০২৪
হজের প্রকারভেদ ও নিয়ত

ইসলাম ধর্মের পঞ্চস্তম্ভের অন্যতম একটি হলো হজ। শারীরিক ও অর্থনৈতিক সামর্থ্য যাদের আছে, তাদের ওপর জীবনে একবার হজ পালন করা ফরজ।

পবিত্র কোরআনুল কারিমে মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলা বলেছেন, اِنَّ اَوَّلَ بَیۡتٍ وُّضِعَ لِلنَّاسِ لَلَّذِیۡ بِبَکَّۃَ مُبٰرَکًا وَّ هُدًی لِّلۡعٰلَمِیۡنَ فِیۡهِ اٰیٰتٌۢ بَیِّنٰتٌ مَّقَامُ اِبۡرٰهِیۡمَ ۬ۚ وَ مَنۡ دَخَلَهٗ کَانَ اٰمِنًا وَ لِلّٰهِ عَلَی النَّاسِ حِجُّ الۡبَیۡتِ مَنِ اسۡتَطَاعَ اِلَیۡهِ سَبِیۡلًا وَ مَنۡ کَفَرَ فَاِنَّ اللّٰهَ غَنِیٌّ عَنِ الۡعٰلَمِیۡنَ

অর্থ: ‘নিশ্চয় প্রথম ঘর, যা মানুষের জন্য স্থাপন করা হয়েছে, তা মক্কায়। যা বরকতময় ও হেদায়াত বিশ্ববাসীর জন্য। তাতে রয়েছে স্পষ্ট নির্দশনসমূহ, মাকামে ইব্রাহিম। আর যে তাতে প্রবেশ করবে, সে নিরাপদ হয়ে যাবে এবং সামর্থ্যবান মানুষের উপর আল্লাহর জন্য বায়তুল্লাহর হজ করা ফরজ। আর যে কুফরি করে, তবে আল্লাহ তো নিশ্চয় সৃষ্টিকুল থেকে অমুখাপেক্ষী’। (সূরা: আলে ইমরান, আয়াত: ৯৬, ৯৭)

হজের প্রকারভেদ

হজ ৩ প্রকার। যথা ইফরাদ, কিরান ও তামাত্তু

ইফরাদ হজ

হজের মাসগুলোতে (শাওয়াল, জিলকদ ও জিলহজ) শুধুমাত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে ইহরাম বেঁধে হজ সম্পাদন করাকে ইফরাদ হজ বলা হয়।

কিরান হজ

হজের মাসগুলোতে (শাওয়াল, জিলকদ ও জিলহজ) হজ ও ওমরা পালনের নিয়তে দীর্ঘ দিনের জন্য ইহরাম বেঁধে একই ইহরামে ওমরাহ ও হজ সম্পাদন করাকে কিরান হজ বলে।

তামাত্তু হজ

হজের মাসগুলোতে (শাওয়াল, জিলকদ ও জিলহজ) ওমরাহ পালনের নিয়তে ইহরাম বেঁধে ওমরাহ পালন করে ইহরাম থেকে হালাল হয়ে যাওয়া অতঃপর হজের আগে হজের নিয়তে ইহরাম বেধে হজ সম্পাদন করাকে তামাত্তু হজ বলে।

৩ প্রকার হজের নিয়ত

অন্তরে কোনো কাজের ইচ্ছা পোষণ করে নেওয়াকে নিয়ত বলে। মুখে নিয়তের শব্দ উচ্চারণ করা জরুরি নয়, অন্তরে ইচ্ছা পোষণ করলেই নিয়ত হয়ে যাবে। তবে হজের নিয়তের শব্দ মুখেও উচ্চারণ করা উত্তম।

ইফরাদ হজ করতে চাইলে নিয়তে বলতে হবে, ‘হে আল্লাহ! আমি হজের নিয়ত করছি, আমাকে যথাযথভাবে হজ পালন করার তওফিক দিন’।

কিরান হজ করতে চাইলে নিয়তে বলবে, ‘হে আল্লাহ! আমি একইসঙ্গে হজ ও ওমরাহর নিয়ত করছি, আমাকে যথাযথভাবে হজ ও ওমরাহ পালন করার তওফিক দিন’।

তামাত্তু হজ পালনকারী প্রথম ইহরামের সময় শুধু উমরাহর নিয়ত করবে। বলবে, ‘হে আল্লাহ! আমি উমরাহর নিয়ত করছি, আমাকে যথাযথভাবে উমরাহ পালন করার তওফিক দিন’। তারপর ৮ই জিলহজ মিনায় যাওয়ার আগে হজের নিয়ত করবে। বলবে, হে আল্লাহ! ‘আমি হজের নিয়ত করছি, আমাকে যথাযথভাবে হজ পালন করার তওফিক দিন’।