‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের ভিশন ২০৪১ সাল। স্মার্ট বাংলাদেশে দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকবে ৩ শতাংশের কম মানুষ, আর চরম দারিদ্র্য নেমে আসবে শূন্যের কোঠায়।বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী। সেখানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো যুগান্তকারী বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিনির্মিত হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। যার চারটি ভিত্তি হবে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট সমাজব্যবস্থা। সেই ‘স্মার্ট বাংলাদেশে’ মাথাপিছু আয় হবে কমপক্ষে ১২ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার। মূল্যস্ফীতি সীমিত থাকবে ৪-৫ শতাংশের মধ্যে; বাজেট ঘাটতি থাকবে জিডিপির ৫ শতাংশের নিচে; রাজস্ব-জিডিপি অনুপাত হবে ২০ শতাংশের উপরে, বিনিয়োগ উন্নীত হবে জিডিপির ৪০ শতাংশে।
বাজেট পেশের সময় মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রে বিশাল প্রত্যাশা দেখিয়েছেন মন্ত্রী। তার আশা অনুযায়ী, ২০৪১ সাল থেকে একজন বাংলাদেশি বছরে ১৪ লাখ ৬৬ হাজার ২৫০ টাকা আয় করবেন। যদিও বর্তমানে মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৭৮৪ ডলার, গত অর্থবছর যা ছিল ২ হাজার ৭৪৯ ডলার। ফলে বছরের ব্যবধানে ৩৫ ডলার বেড়েছে। বর্তমানে টাকার হিসাবে মাথাপিছু আয় ৩ লাখ ৬ হাজার ১৪৪ টাকা, যা গত অর্থবছর ছিল ২ লাখ ৭৩ হাজার ৩৬০ টাকা।
বিবিএস জানায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে ২ হাজার ৫৯১ ও ২০২১-২২ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল ২ হাজার ৭৯৩ ডলার।
শতভাগ ডিজিটাল অর্থনীতি আর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক সাক্ষরতা অর্জিত হবে। সবার দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে যাবে। স্বয়ংক্রিয় যোগাযোগ ব্যবস্থা, টেকসই নগরায়নসহ নাগরিকদের প্রয়োজনীয় সব সেবা থাকবে হাতের নাগালে। তৈরি হবে পেপারলেস ও ক্যাশলেস সোসাইটি। এসব কিছুর পেছনে মূল লক্ষ্য হবে সমতা ও ন্যায়ভিত্তিক একটি সুখী সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলা।