যুবলীগের কথিত নেতা ও আলোচিত ঠিকাদার এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম সহ আটজনের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় রায় ঘোষণা হবে আজ সোমবার (১৭ জুলাই)।
এজন্য এদিন দুপুর ১১ টা ৩০ মিনিটের দিকে জিকে শামীম সহ তার সাত দেহরক্ষী আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। এসময় জিকে শামীম বাদে বাকি আসামিদের ডান্ডাবেরি পরিয়ে আদালতের কাটগড়ায় তোলা হয়।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম কিছুক্ষণের মধ্যেই মামলার রায় ঘোষণা করবেন। রায়কে ঘিরে আদালতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখা গেছে।
এর আগে গত ১৫ জুন রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন আদালত। যুক্তিতর্ক শেষে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি ১২ বছরের কারাদণ্ডের প্রত্যাশা করে রাষ্ট্রপক্ষ।
অন্যদিকে আসামিপক্ষ থেকে বলা হয়, রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। তাই আসামিরা নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে খালাস পাবেন।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলো-মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. মোরাদ হোসেন, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. শহীদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন ও মো. আনিছুল ইসলাম। তারা সকলে জিকে শামীমের দেহরক্ষী।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সাত সশস্ত্র দেহরক্ষীসহ জি কে শামীমকে তার কার্যালয় থেকে আটক করে র্যাব। এসময় সেখান থেকে এক কোটি ৮০ লাখ টাকা, ৯ হাজার ইউএস ডলার, ৭৫২ সিঙ্গাপুরের ডলার, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর, অস্ত্র, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ জব্দ করা হয়। এরপর র্যাব বাদী হয়ে অবৈধ অস্ত্র ও মাদক রাখা এবং মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে আরো তিনটি মামলা দায়ের করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু সাঈদ তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৪ আগস্ট আদালতে জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২০ সালের ১০ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।