নোয়াখালীর সুবর্ণচরে স্বামীর মুঠোফোনে সাবেক প্রেমিকের পাঠানো ম্যাসেজ, ভিডিও নিয়ে অপবাদের জেরে প্রাণ দিতে হলো নববধূ ফাহিমা আক্তার পপি (২২) নামের এক নববধূকে। নিহত পপি উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মো. সেলিমের মেয়ে। সৈকত সরকারি কলেজের বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিল পপি।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে নিহত পপির মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরআগে শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকার ওয়ান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। গত বুধবার ২০ নভেম্বর বিকেলে উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নের নিজ বাড়ির পাশে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে পপি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত পপি স্থানীয় সৈকত সরকারি কলেজের ছাত্রী ছিল। কলেজে পড়াশুনা করার সময় মহিন ইসলাম রিয়াদ নামের এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় ছিল পপির। গত সোমবার ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় পারিবারিকভাবে সিন্ধান্ত নিয়ে বিজিবি সদস্য আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের সঙ্গে বিয়ে হয় পপির। বিয়ের পর পপির স্বামী মাহমুদের কাছে রিয়াদ নামের ওই যুবক দাবি করে পপির সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এরপর রিয়াদ পপির সংসার ভাঙ্গার জন্য তার সঙ্গে পপির বিভিন্ন ম্যাসেজ, যৌথভিডিও তার স্বামীর মুঠোফোনে প্রেরণ করে। এ নিয়ে মাহমুদ ও তার পরিবারের সদস্যরা নববধূকে চরিত্র ভালো নয় বলে বিভিন্ন অপবাদ দিতে থাকেন। পরবর্তীতে মাহমুদ পপির সঙ্গে সংসার করবেনা বলে জানায় এবং তার মতো স্ত্রী বেঁচে না থেকে মরে যাওয়ার জন্য বলে অপবাদ দেয়।
গত বুধবার সন্ধ্যায় নিজ বাড়ির পাশে এক আত্মীয়ের বাড়িতে পপি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তাৎক্ষণিক পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে গেলে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন মিয়া বলেন, এ ঘটনায় নিহত নববধূর চাচা বাদীয় হয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন। পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রতিদেবন তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।