নোয়াখালী সুবর্ণচর উপজেলায় এক যুবদ নেতার বিরুদ্ধে এক সন্তানের জননী গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ ওঠেছে। এই ঘটনায় শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ৮ টায় ভুক্তভোগী নারী চরজব্বর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও রোববার সন্ধ্যা পযন্ত মামলা রেকর্ড হয়নি।
অভিযুক্ত আব্দুর রহমান (৩২) উপজেলার চর আমান উল্যাহ ইউনিয়নের কাটা বুনিয়া গ্রামের খুরশিদ আলমের ছেলে এবং চর আমান উল্যাহ ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড যুবদলের সহসভাপতির পদে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
গত মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার চর আমান উল্যাহ গ্রামের মতিউর রহমানের বাড়ীতে এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানান ভুক্তভোগী নারী।
ভুক্তভোগী নারী লিখিত অভিযোগে জানান, তাঁর স্বামী মোজাম্মেল হোসেন চাকুরির সুবাদে চট্রগ্রাম থাকেন। এ সুযোগে প্রতিবেশী যুবদল নেতা আব্দুর রহমান প্রায় সময় তাঁকে শারীরিক সম্পর্কের জন্য নানা কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছেন। গত মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টা দিকে ভুক্তভোগী রান্নাঘরে রান্নার করা অবস্থায় হঠাৎ করে পিছন দিক থেকে রহমান তাঁকে জড়িয়ে ধরে শরীরের বিভিন্ন গোপনাঙ্গে স্পর্শ করে এবং ধর্ষনের চেষ্টা করে। এসময় ভুক্তভোগী নারী চিৎকার দিলে রহমান দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।
পরে বিষয়টি ভুক্তভোগী নারী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অবগত করলে তাঁরা শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে এক সালিশ বৈঠকে বসেন। ওই সালিশ বৈঠকে ভুক্তভোগী কোন ন্যায় বিচার না পাওয়ায় শনিবার রাতেই তিনি চরজব্বর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিকে ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ করে বলেন, আবদ্র রহমান যুবদলের রাজনীতি করায় গত দুই-তিন মাস ধরে আমাকে নানাভাবে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছে। মান-সম্মানের ভয়ে তখন আমি কাউকে কিছু বলিনি। এখন যা ঘটেছে, এতে আর চুপ থাকা যায়না। এই ঘটনায় শনিবার রাতে থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর থেকে ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে এবং ভিন্নখাতে নিতে বিএনপি ও যুবদলের প্রভাবশালী একাধিক নেতা রহমানের পক্ষ নিয়ে মামলা তুলে নিতে আমাকে নানাভাবে চাপ প্রয়োগ ও হুমকি-ধুমকি দিচ্ছে।
তবে অভিযুক্ত আব্দুর রহমান জানান, জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে আমি কোনভাবেই জড়িত নয়। একটি কুচক্রি মহলের ইন্ধনে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে।
চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন মিয়া বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি মামলা হিসেবে
এখনো রেকর্ড করা হয়নি। অভিযোগকারী এবং অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রতিবেশী। তাই ঘটনার তদন্ত শেষে সতস্যা পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।