২৭ নভেম্বর ২০২৪: দৈনিক নোয়াখালী বার্তা পত্রিকার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, রোজ-রবিবার, ১৬ তম বর্ষের ২৪১নং সংখ্যার প্রথম পাতায় “রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে প্রবাসীর জমি ও ভবন দখলের চেষ্টা ভাড়াটিয়া প্রতারকচক্রের” শিরোনামে প্রকাশিত লিড সংবাদটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদটিতে আমােেদরকে নিয়ে যে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, তা সম্পূন্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
প্রকৃত পক্ষে- নোয়াখালী পৌরসভার আর.এস ১০৬ নং কৃষ্ণরামপুর মৌজার ডি.এস, এম.আর.আর ৯৫নং খতিয়ানের ৩০৭৬ নং দাগে ৬.৭৪ শতাংশ ভূমি যাহা বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং কর্পোরেশনের সেন্টাল রোডের পশ্চিম পাশে ৩২নং প্লটের পাকা বাড়ির গ্রাউন্ড ফ্লোর থেকে ৯তলা বিশিষ্ট ২৫ হাজার ২০০ স্কয়ার ফুট আবাসিক ভবনটির মালিক মোহাম্মদ আহসান উল্যা ও তার স্ত্রী রাশেদা আক্তারের কাছ থেকে ৩০ অক্টোবর ২০২২ তারিখে আমরা উভয় পক্ষ মাসিক ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকায় ভাড়া এবং অগ্রিম ১ কোটি টাকা জামানত স্বরুপ ১৫ বছরের চুক্তিবদ্ধ হই। চুক্তি মতে আবাসিক ভবনটিকে বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং কর্পোরেশন ও নোয়াখালী পৌরসভার কাছ থেকে বাণিজ্যিক অনুমোদন ও বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন স্থাপনসহ ভবনের পুর্র্ণাঙ্গ কাজ সমাপ্ত করে দেওয়ার কথা ছিল। চুক্তির দুই মাস পার না হতেই ভবনের মালিকগন আমাদের কাছে আরো ৫০ লাখ টাকা অগ্রিম জামানত দাবি করেন। পরবর্তীদের ভবনের মালিকগন তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের নেতাদের চত্র ছায়ায় আমাদেরকে চাপ প্রয়োগ করলে আমরা অসহায়-অরাজনৈতিক ব্যক্তিগন পূর্বের চুক্তিপত্র হালনাগাদ করে ভবনের মালিকগনকে আরো ৫০ লাখ টাকা অগ্রিম জামানত প্রদান করে সর্বমোট ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা অগ্রিম জামানত প্রদানের মাধ্যমে ২০ বছরের চুক্তিবদ্ধ হই। ভবনের মালিক মোহাম্মদ আহসান উল্যা ভবনের ৮ম তলার ছাদ ঢালাই দিয়ে আমাদেরকে অবহিত না করে চুক্তির ১৪ মাস পর ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে ইতালী চলে যান। চুক্তিমতে ভবনটির সম্পূর্ণ কাজ শেষ করে ভবনটি আমাদেরকে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে বুঝিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। এতে আমাদের চুক্তির মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হয় এবং ওই ভবনে আমাদের প্রস্তাবিত হাসপাতালের জন্য প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকার মালামাল ক্রয় করলে উক্ত মালামাল ও মিশিনারিজ নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়ে গেছে। এরপর দীর্ঘ ৫ মাস পর ২০২৪ সালের মে মাসে তিনি দেশে আসলে আমরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি টাকা-পয়সার সংকট দেখিয়ে আমাদেরকে ভবনটি বুঝিয়ে দিতে ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে একাধিক শালিস বৈঠক বসেও আমরা কোন সমাধান পায়নি। পরবর্তী ২০২৪ সালের ০১ জুন এক সালিস বৈঠকে ভবনের মালিকগন ভবনের ৯তলা ছাদসহ অসম্পূন্ন কাজ শেষ করতে ভূমিসহ ভবনের সমান সমান মালিকানায় আমাদের ভাড়াটিয়া পক্ষের মাহবুবুর রহমানকে ডেভেলপার হিসেবে চুক্তিবদ্ধ করেন এবং পরের দিন ০২ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে ভবনের কাজ শুরু করার জন্য মালিকগন মাহবুবুর রহমানকে ভবনের দখল বুঝিয়ে দেন। এর কয়েকদিন পরই ভবনের মালিকগন আওয়ামী লীগের প্রভাবে আমাদেরকে ভবনের কাজ করতে বাঁধা দেয়। পরবর্তীতে ২০২৪ সালের ৬ জুন আমরা মালিকগনের প্রতারণার বিরুদ্ধে সুধারাম মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি, যার এইচ.ডি.আর নং- ১৮৮৯। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই মাসের ৩০ জুন উভয়পক্ষের বৈঠকে মালিকগন অর্থ সংকট দেখিয়ে ভবনের অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে পারবেন না বলে আনুষ্ঠানিকভাবে মত প্রকাশ করেন এবং আমাদের ভাড়াটিয়া পক্ষকে উক্ত ভবন ভূমিসহ ক্রয় করার প্রস্তাব করেন। এরপর ভূমিসহ ভবনের মূল্য- ৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকা মূল্য নির্ধারণ করে আমাদের চুক্তির অগ্রিম জামানতের ১ কোটি ২১ লাখ টাকা পরিশোধ বাবদ দেখিয়ে বাকি ২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ভূমি ও ভবন রেজিস্ট্রির সময় গ্রহণের সিদ্ধান্তে একটি বায়নাপত্র সম্পাদন করা হয়। ওই বায়নাপত্রের ১০দিন পর ভূমি ও ভবন রেজিস্ট্রি দেওয়ার কথা থাকলেও আওয়ামী লীগের দোসর মোহাম্মদ আহসান উল্যা ও তার স্ত্রী রাশেদা আক্তার তাদের আরেক আওয়ামী দোসর বেগমগঞ্জ উপজেলা যুবলীগ নেতা শিহাব ও চৌমুহনী পৌর আওয়ামী লীগের পৃষ্ঠপোষক শাখাওয়াত হোসেন সেকুর মদদে আমাদেরকে ভূমি ও ভবনটি রেজিস্ট্রি না দিয়ে কাল ক্ষেপন করতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা আমাদের সঙ্গে সকল চুক্তি ও বায়নাপত্র ভঙ্গ করে মোহাম্মদ আহসান উল্যা ও তার স্ত্রী রাশেদা আক্তার ইতালীতে পালিয়ে যায়। এদিকে ভবনটি আমাদের দখলে থাকলেও ভবনের রক্ষণাবেক্ষণে তাদের প্রতারণার শিকার হয়ে আমরা প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকার ক্ষতির মূখে পড়ছি।
অথচ- আপনার পত্রিকায় আমাদের কোন বক্তব্য গ্রহণ ছাড়াই মনগড়া মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রকাশ করে আমাদের সম্মান ক্ষুন্নের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করছি।
মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান
পিতা-মৃত মুকবুল আহমেদ
সাং- বারইচতল, বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী।
সোহরাব হোসেন
পিতা-মৃত সিরাজুল ইসলাম
সাং-পাঁচপাড়া, সদর, লক্ষ্মীপুর।