দেশের অন্যতম প্রাচীন ও আলোচিত মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিসহ অন্যান্য প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিতে নগ্ন হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর গুলশানে ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের’ ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানবন্ধনে অংশ নেওয়া সাবেক শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘অবৈধভাবে পূর্বের ট্রাস্টি বোর্ড ভেঙে দিয়ে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়ে নতুন ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করা আমাদের কাছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মনে হয়েছে। আমরা মনে করি একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে রাজনৈতিক রুপ দান করা বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের নামান্তর। আমরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
তারা বলেন, ‘আপনাদের যদি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার এতোই খায়েশ থাকে তাহলে নিজেদের অর্থায়নে একটা প্রতিষ্ঠান দার করিয়ে সেখানে নিজেকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেন। অবৈধভাবে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নগ্ন হস্তক্ষেপ আমরা কোনোভাবেই মেনে নেবো না।’
সাবেক শিক্ষার্থীরা আরও বলেন,‘অবিলম্বে এই অবৈধ ট্রাস্টি বোর্ড ভেঙে দিয়ে পূর্বের ট্রাস্টি বোর্ডের কাছে হস্তান্তর করতে হবে। তা নাহলে আমরা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সাবেক শিক্ষার্থীদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবো।’
এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে এক সভায় মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজ পুনর্গঠন হয়, বাদ দেওয়া হয় আগের সব সদস্যকে। সভায় নতুন করে পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
এ ছাড়াও অন্য সদস্যরা হলেন- সাবেক সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, সাবেক সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক মশিউর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের অনারারি অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের স্কুল অব বিজনেসের অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আরাফাত, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মেখলা সরকার, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. সেলিম মাহমুদ, হাসুমনির পাঠশালার সভাপতি সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী মারুফা আক্তার পপি, বাংলাদেশ মহিলা সমিতির সদস্য ইসরাত জাহান নাসরিন ও সোশ্যাল ইমপ্রুভমেন্ট সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মিহির কান্তি ঘোষাল।