র্যাপিড পাস হলো মেট্রোরেল অথবা নির্ধারিত বাহনে যাতায়াতের ভাড়া পরিশোধের জন্য সর্বাধুনিক স্মার্ট কার্ড।
বাংলাদেশে গণপরিবহনের সমন্বিত ই-টিকেটিং (এক কার্ডে সব যোগাযোগ) ব্যবস্থা প্রবর্তন ও ভাড়া আদায়ের লক্ষ্যে এই র্যাপিড পাস প্রচলন করেছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে এমআরটি পাসও ব্যবহার করা হয়। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিভিত্তিক সংযোগবিহীন স্মার্ট কার্ডটি প্রচলন করেছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
অনেক সময় র্যাপিড পাস বা এমআরটি পাস কার্ড বাতিল বা ব্লাকলিস্টেড হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু কোন কোন কারণে, জেনে নিন-
১. বারবার কার্ড পাঞ্চ করা
এন্ট্রি বা এক্সিট গেইটে বারবার পাঞ্চ করার কারণে হতে পারে। অর্থাৎ, আপনার সামনের ব্যক্তি যাওয়ার পরে একটু সময় দিন। এরপর আপনার কার্ড পাঞ্চ করুন একবারই, তারপর এন্ট্রি/এক্সিট হন।
২. রি-ইস্যু আবেদন করা কার্ড ব্যবহারের চেষ্টা না করা
আপনার কার্ড হারিয়ে গেলে তা আবার রি-ইস্যু আবেদন (কার্ড রিপ্লেসমেন্ট) করার পর হারানো কার্ডটি ফিরে পেলে তা ব্যবহার চেষ্টা করা যাবে না। হারানো কার্ড খুঁজে পেলে তা জমা দিয়ে, জামানতের টাকা ফেরত নেয়া যাবে। কিন্তু ব্যবহারের জন্য পাঞ্চ করা যাবে না।
৩. এন্ট্রি বাতিল করা
কোনো কারণে যাত্রা বাতিল হলে বা ট্রেন বিলম্ব হলে এন্ট্রি ক্যানসেল করতে হয়, সেক্ষেত্রেও কার্ড ব্লাকলিস্টেড হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বার বার বা রেগুলার এটি করলে কার্ডের ক্ষতি হতে পারে।
৪. কার্ড পাঞ্চ না করেই বের হয়ে যাওয়া
অনেক সময় তাড়াহুড়োতে কার্ড পাঞ্চ না করেই অনেকে বের হয়ে যান। পরবর্তীতে জরিমানা প্রদান করে কার্ড আপডেট করতে হয়। সেক্ষেত্রে কার্ড ব্লাকলিস্টেড হতে পারে। এছাড়াও রিচার্জ/এন্ট্রি/এক্সিটের সময় তাড়াহুড়ো করলে অসমাপ্ত ট্রানজেকশনের ফলেও কার্ডটি ব্ল্যাকলিস্টেড হতে পারে।
৫. NFC চেক করার চেষ্টা
এটি একটি NFC Technology’র অফলাইন স্টোর ভ্যালুড কার্ড। কার্ডের যাবতীয় তথ্য কার্ডের ভেতরের চিপে সংরক্ষিত থাকে এবং ব্যবহারের সময় অথোরাইজড ডিভাইসের মাধ্যমে এতে ডাটা রিড/রাইট হয়। সুতরাং, আন-অথোরাইজড কোনো NFC Device/App এর মাধ্যমে MRT/Rapid Pass ক্লোন/রিড/রাইট করার চেষ্টা করলে কার্ডটি বাতিল হতে পারে।
৬. অসংবেদনশীল তাপ ও চাপ প্রয়োগ
অতিরিক্ত তাপমাত্রায় কার্ড সংরক্ষণ করা যাবে না। ওয়ালেটে রেখে অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করা যাবে না।
৭. কার্ড নাম্বার শেয়ার না করা
আপনার ব্যবহৃত কার্ডের নাম্বার, এনআইডি নম্বর ইত্যাদি ব্যক্তিগত তথ্যাদি কারো সাথে শেয়ার করবেন না।
সাধারণত উপরোক্ত কারণে ব্লাকলিস্টেড হয়ে থাকে বলে ধারণা করছেন মেট্রোরেল স্টেশন কর্তৃপক্ষ ও ডিটিসিএ। তবে টেকনিক্যাল অন্যান্য জটিলতায়ও কার্ড ব্লাকলিস্টেড হতে পারে, সেসব বিষয়ে সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারছেন না তারা।
একাধিক কার্ড রেজিস্ট্রেশন জন্য একই তথ্য প্রদান করলেও আলাদা আলাদা মোবাইল নম্বর ব্যবহার করা সর্বোত্তম।