ঢাকা সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪

Rupalibank

আজ সালাম মুর্শেদীর গুলশানের বাড়ি নিয়ে হাইকোর্টের রায়


স্মার্ট প্রতিনিধি
২:১৫ - বুধবার, মার্চ ১৩, ২০২৪
আজ সালাম মুর্শেদীর গুলশানের বাড়ি নিয়ে হাইকোর্টের রায়

খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশান-২ নম্বরের বাড়িটি দখলে রাখার অভিযোগ নিয়ে করা রিটের ওপর রায় ঘোষণা হতে পারে আজ।

রায় ঘোষণার জন্য মামলাটি কার্যতালিকায় ১১ aনম্বর ক্রমিকে রাখা হয়েছে।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করবেন। এর আগে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে রায় ঘোষণার দিন পিছিয়ে আজকের দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট। দুদকের আইনজীবীর সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

আবদুস সালাম মুর্শেদী সংসদ সদস্য, ব্যবসায়ী ও সাবেক ফুটবলার। রাজধানীর গুলশান-২-এ অবস্থিত পরিত্যক্ত সম্পত্তির ‘খ’ তালিকাভুক্ত বাড়িটি দখলে রাখার অভিযোগ তুলে অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক (বর্তমানে সংসদ সদস্য)।

প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০২২ সালের ১ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল দিয়ে বাড়ি-সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নথিপত্র হলফনামা আকারে দাখিল করতে নির্দেশ দেন। রুলে বাড়িটি বেআইনিভাবে দখলে রাখার অভিযোগে আবদুস সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। এরপর রাজউক নথি দাখিল করে। পরে বাড়ি নিয়ে অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দিতে দুদককে নির্দেশ দেওয়া হয়।

গত ১৭ জানুয়ারি হাইকোর্ট এক আদেশে প্রশ্ন ওঠা ওই ভূমি বা প্লটের চেইন অব টাইটেল (মালিকানা হস্তান্তরের পরম্পরা), দখল-সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নথি ও কাগজপত্র যুক্ত করে পক্ষগুলোকে হলফনামা (অ্যাফিডেভিট ইন অপজিশন) দাখিল করতে নির্দেশ দেন।

একইসঙ্গে অনুসন্ধান প্রতিবেদনসহ প্রয়োজনীয় নথি ও কাগজপত্র যুক্ত করে দুদককে ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হলফনামা দাখিল করতে নির্দেশ দেয়া হয়।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি শুনানিতে দুদকের আইনজীবী আদালতকে জানান, আদালতের নির্দেশের পর বাড়িটি নিয়ে দুদক অনুসন্ধান করে। অনুসন্ধানে বাড়িটির বিষয়ে জাল–জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়। মৌখিক ও দালিলিক সাক্ষীর ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশন সর্বসম্মতিতে সিদ্ধান্ত নিয়ে যাদের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে অভিযোগ পেয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে গত ৫ ফেব্রুয়ারি মামলা করা হয়। তদন্ত শুরু হয়েছে।

আগের ধারাবাহিকতায় ১৪ ফেব্রুয়ারি ওই বাড়িটির (ভূমি বা প্লটের মালিকানা হস্তান্তর) পরম্পরার তথ্য আদালতে তুলে ধরেন দুদকের আইনজীবী। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বিষয়টি শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন পক্ষগুলোর সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ-সংক্রান্ত রুল শুনানির জন্য ৩ মার্চ দিন নির্ধারণ করেন। সেদিন রুলের ওপর শুনানি হয়।