ঢাকা সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪

Rupalibank

ঈদে সুস্থ থাকতে ডায়াবেটিস রোগীদের করণীয়


স্মার্ট স্বাস্থ্য প্রতিবেদক
৬:০৮ - সোমবার, এপ্রিল ৮, ২০২৪
ঈদে সুস্থ থাকতে ডায়াবেটিস রোগীদের করণীয়

দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনার পর ঈদুল ফিতর নিয়ে আসে খুশির বার্তা। ঈদ মানেই আনন্দ আর বাহারি খাবারের স্বাদ গ্রহণ করা। আর তাই ঈদ ও এর পরবর্তী এক সপ্তাহ সবার মধ্যেই ঈদের আমেজ বিরাজ করে।

ঈদের সময় কমবেশি সবাই দাওয়াত, আড্ডা, ঘোরাঘুরি ও আনন্দের মধ্য দিয়ে সময় কাটায়। এর ফলে অতিরিক্ত খাবারও খাওয়া হয়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে শরীরে। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের এ সময় বেশি সতর্ক থাকা উচিত। না হলে ডায়াবেটিস হঠাৎ করেই বেড়ে যেতে পারে। আর তাই ঈদে সুস্থ থাকতে ডায়াবেটিস রোগীদের করণীয় সম্পর্কে জেনে নিন।

> রমজান শেষে ঈদের দিন থেকেই সবার মধ্যেই খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। এজন্য যখন খাবানে ধীরে ধীরে চিবিয়ে খাওয়ার দিকে মনোযোগ দিতে হবে।

> খাবার খাওয়ার সময় অবশ্যই কতটুকু খাচ্ছেন সেদিকে নজর রাখুন। আপনি কী ও কতটুকু খাচ্ছেন সে বিষয়ে অবশ্যই নজর রাখতে হবে।

> মিষ্টি খাবার খেতে ইচ্ছা করলে খেজুর আখরোট বা শুকনো ডুমুর খাওয়ার চেষ্টা করেন। এগুলোতে প্রাকৃতিক চিনি থাকে যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়। এগুলো খেলেই দেখবেন মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা কমে যাবে।

> স্বাদ ত্যাগ না করে স্বাস্থ্যকর উপায়েও ঘরে তৈরি বাহারি খাবার ও মিষ্টি তৈরি করে খেতে পারেন। তবে তা হতে হবে প্রাকৃতিক উপায়ে প্রস্তুতকৃত। যেমন চিনি বা চিনির শরবতের পরিবর্তে কৃত্রিম সুইটনার, স্টিভিয়া মধু বা খেজুর ব্যবহার করতে পারেন। সাদা আটার পরিবর্তে পুরো গমের আটা বেছে নিন।

> খাওয়া শেষ হতেই টেবিল ছেড়ে দিন। অযথা টেবিলে বসে থাকলে এটা সেটা দেখলেই খেতে ইচ্ছে করবে। ঈদেও পাতে সবজি রাখুন। আপনার ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করার সর্বোত্তম উপায় হলো বারবার অল্প অল্প খাবার খাওয়া।

> রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়মিত পরীক্ষা করুন। রুটিন ও খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন ও রমজানের পরে আপনার ওষুধের সামঞ্জস্যতায় অপ্রত্যাশিত প্রভাব পড়তে পারে। এজন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

> ব্লকের চারপাশে হাঁটুন। এটি আপনার মেজাজকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে ও ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। ব্যায়াম করার অভ্যাস বজায় রাখুন।

> পানিশূন্যতা রোধ করতে বেশি করে পানি পান করা গুরুত্বপূর্ণ। মিষ্টি খাওয়ার পরে এটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কিডনি সিস্টেম থেকে চিনি বের করার জন্য পানির ব্যবহার অপরিহার্য। প্রতি ঘণ্টায় এক কাপ পানি পান করুন।