ঢাকা সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪

Rupalibank

নোবিপ্রবি’তে শিক্ষকদের কর্মবিরতি, সেশনজটের শঙ্কায় শিক্ষার্থীরা


স্মার্ট প্রতিনিধি
১২:০৬ - সোমবার, জুলাই ১, ২০২৪
নোবিপ্রবি’তে শিক্ষকদের কর্মবিরতি, সেশনজটের শঙ্কায় শিক্ষার্থীরা

ঈদ-উল আযহার ছুটি শেষে গত ২৩ জুন খুলেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি)। এতে ক্যাম্পাসে ফিরেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তবে ক্যাম্পাস খুললেও পুরোদমে ক্লাসে ফিরতে পারেনি শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন ঘোষিত সার্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিম বাতিলের দাবিতে রোববার (০১ জুলাই) পূর্র্ণদিবস কর্মবিরতি কর্মসূচী পালন করছে নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি। এতে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষক সমিতির নেতারা জানিয়েছেন, তাদের ঘোষিত দাবি মেনে না নিলে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করবেন তারা। তখন ক্লাস-পরীক্ষার পাশাপাশি প্রশাসনিক ও অ্যাকাডেমিক সকল কাজ থেকে বিরত থাকবেন শিক্ষকরা। এতে নোবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা সেশনজটের আশঙ্কা করছেন। স্নাতক শেষ বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীরা রয়েছেন বেশি দুশ্চিন্তায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী কামরুদ্দুজা সিফাত বলেন, চলমান কর্মবিরতির ফলশ্রুতিতে চূড়ান্তভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩তম ব্যাচের (মাস্টার্স শেষ না হওয়া) বিভিন্ন বিভাগের আমাদের বন্ধুবান্ধবরা। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের প্রতি বাবা মায়ের প্রত্যাশার পারদ সবসময়ই কতটা ঊর্ধ্বমুখী থাকে, তা সকলেরই জানার কথা। উদ্ভূত এ পরিস্থিতিতে আমাদের পরীক্ষা শুরু হচ্ছেনা, আর সেজন্য মাস্টার্স সম্পন্নও হচ্ছেনা। সবকিছুই স্থবির হয়ে আছে। সম্মানিত শিক্ষকমণ্ডলীদের নিকট আমাদের বিনীত অনুরোধ শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে অন্তত সেমিস্টার ফাইনালগুলো যেন কর্মবিরতির আওতামুক্ত থাকে।

বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আনিসুল হক বলেন, করোনা মহামারীর ধকল থেকে রেহাই পায়নি বেশিরভাগ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। নোবিপ্রবিতেও এর ব্যতিক্রম নয়। প্রতিটি সেশনে প্রায় এক বছরের মত সেশনজট রয়েছে এই মহামারীর কারণে। এখন আবার শিক্ষকদের কর্মবিরতি যদি দীর্ঘ হয় তবে আমরা পুনরায় সেশনজটের আশঙ্কা করছি। শিক্ষকদের কর্মবিরতির প্রতি আমাদেরও সমর্থন আছে, তাই আমরা চাই সামগ্রিকভাবে শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সুমন খান বলেন, ২০২০ সালে শিক্ষকদের নিয়োগ সংক্রান্ত ৭৬ দিনের আন্দোলনে আমাদের পড়ালেখার যে ক্ষতি হয়েছে, তা এখনো আমরা কাটিয়ে ওঠতে পারিনি। ওই আন্দোলনের ঘাঁ না শুকাতেই আবারো কর্মবিরতি! এই কর্মবিরতির ফলে শিক্ষার্থীদের সেশনজটে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই শিক্ষকদের প্রতি আমাদের অনুরোধ থাকবে, যাতে আমাদের পরীক্ষাগুলো কর্মবিরতির আওতামুক্ত রাখা হয়।

শিক্ষকদের চলমান আন্দোলন বিষয়ে নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান রিমন বলেন, আমাদের  শিক্ষকদের দাবিদাওয়ার ব্যাপারে  ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কথা বলে অতিদ্রুত সমাধান করবে বলে আমরা আশাবাদী। আন্দোলনের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থীরা সেশনজটের কবলে পড়ুক, তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা আমাদের আন্দোলন শেষ হওয়া মাত্রই  ক্লাসে ফিরে যাবো এবং আন্দোলনের কারণে শিক্ষার্থীদের স্বল্পকালীন ক্ষতি বাড়তি ক্লাসের মাধ্যমে পুষিয়ে দিবো।