নোয়াখালী সদর উপজেলায় ৩ সমন্বয়কের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ এই হামলা করেছে বলে দাবি সমন্বয়কদের। আহত সমন্বয়কেরা হলেন, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্র সমন্বয়ক মেহেদী হাসান সীমান্ত (২৪), স্থানীয় ছাত্র সমন্বয়ক মামুনুর রশীদ তুষার (২৬) ও হাসান আহম্মেদ গালিব (২৬)।
শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে জেলা শহর মাইজদীর মধুসূদনপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
সুধারাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুর রহমমান খাঁন জানান, জেলা শহর মাইজদীর হকার্স মার্কেটের একটি দোকান নিয়ে আগে থেকে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল শনিবার সন্ধ্যার দিকে ওই দোকানের দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। ওই সময় সেখানে গিয়ে সমন্বয়ক কথা বলে। পরবর্তীতে পাশ্ববর্তী সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে গিয়ে বিষয়টির সমাধান হয়। কিন্ত সমন্বয়ক যখন সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের দিকে যায় তখন কে বা কাহারা তাদের ছবি তুলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয় সমন্বয়ক চাঁদাবাজি করতে গিয়ে ধরা খেয়েছে এবং তারা কট। ফেসবুকের স্ট্যাটাসটি ছড়িয়ে পড়লে রাত দেড়টার দিকে সত্যতা প্রকাশের জন্য যাদের সাথে ঝামেলা হয় তাদের সাক্ষাৎকার নিতে যায় সমন্বয়করা। তখন কে বা কাহারা সমন্বয়কদের মারধর করে। পরে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা তাদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় বাপ্পী (২৮) ও ফাহাদ (৩০) নামে ২জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের রাজনৈতিক পরিচয় এখনো জানা যায়নি। তবে তা খতিয়ে দেখা হবে।
নোবিপ্রবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আল জকি হোসেন বলেন, এ হামলার সাথে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী জড়িত। তিনি হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
সুধারম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে রোববার সকালে ২জনকে আটক করে। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।