ঢাকা রবিবার, জানুয়ারী ১২, ২০২৫

Rupalibank

ইমরান ও কুরেশির ১০ বছরের কারাদণ্ড


স্মার্ট আন্তর্জাতিক প্রতিবেদক
৩:৩৭ - মঙ্গলবার, জানুয়ারী ৩০, ২০২৪
ইমরান ও কুরেশির ১০ বছরের কারাদণ্ড

তথ্য ফাঁসের (সাইফার) মামলায় পাকিস্তানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে দুই পিটিআই নেতার উপস্থিতিতে বিশেষ আদালতের বিচারক আবুল হাসনাত জুলকারনাইন এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন।

আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর মাত্র এক সপ্তাহ আগে এ রায় দিলো আদালত।

প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতের প্রমাণ হিসেবে একটি তারবার্তা ফাঁস করতে চেয়েছিলেন বলে মামলায় অভিযোগ আনা হয়।

কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা জানিয়েছে, ওই তারবার্তার মাধ্যমে ইমরান প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন, পাকিস্তানের ক্ষমতাধর সেনাবাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়েছে।

রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গত বছরের  আগস্টে ইমরান খান ও কুরেশির বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়।

অভিযোগ উঠেছে, কূটনৈতিক তারবার্তাটি ইমরান খানের হাতে তুলে দেন সাবেক মুখ্যসচিব আজম খান। পরে তারবার্তাটি কোথায় রেখেছেন, ভুলে গেছেন বলে ইমরান খান তাকে জানান এবং বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও সেটা আর ফেরত দেননি।

গত মাসে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি মিয়াঙ্গুল হাসান আওরঙ্গজেব ইমরানের পাশাপাশি তার সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশির বিরুদ্ধে বিশেষ আদালতে চলা এই মামলার বিচারকাজের ওপর ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দেন। আদেশে তিনি বলেছিলেন, মামলাটিতে ‘আইনি ত্রুটি’ রয়েছে।

ইমরান খান বর্তমানে আদিয়ালা কারাগারে রয়েছেন। সেখানেই বিশেষ আদালত বসিয়ে তারবার্তা ফাঁস মামলার কার্যক্রম চলছিল। তবে অভিযোগ গঠন এবং বিচারকাজ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশে সংবাদমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞার মতো বিষয়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আবেদন করেন ইমরান। এরপর আদালত এ স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন।

গত ১৩ ডিসেম্বর ইমরান ও কুরেশিকে দ্বিতীয়বারের মতো অভিযুক্ত করা হয়। এরপর অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীনে গত মাসে আদিয়ালা কারাগারে নতুন করে মামলার কার্যক্রম শুরু করেন বিশেষ আদালত।

২০২২ সালের এপ্রিলে জাতীয় পরিষদে অনাস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়তে হয় ইমরান খানকে। এরপর তার বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা হয়। সেনা সদর দফতরে হামলাসহ ৯ মের সহিংসতার ঘটনায় মঙ্গলবার নতুন করে তাকে কমপক্ষে ১২টি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।